ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নবনির্বাচিত মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণে প্রস্তুত থাকার কথা জানালেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তবে শপথ কার্যক্রমে অযথা প্রশাসনিক কালক্ষেপণ করা হচ্ছে বলে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক বলেন,
“গেজেট প্রকাশের পর ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও আমাকে এখনো শপথ পড়ানো হয়নি। এটি রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বেরই বহিঃপ্রকাশ।”
সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক স্পষ্টভাবে জানান, আদালতের রায়ে মেয়র পদে তার জয় নিশ্চিত হয়েছে, এবং এতে আইনত কোনো অস্পষ্টতা নেই।
তিনি বলেন,
“৩০ দিনের মধ্যে মামলা হয়েছিল। রায়ও হয়েছে আদালতের নিয়ম মেনে। কিন্তু এখন কেউ কেউ বলছেন, এটি অবৈধ নির্বাচনের বৈধতা—এই বক্তব্য আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।”
এ সময় তিনি ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি)-র কিছু মন্তব্যকে আদালত অবমাননার শামিল বলে উল্লেখ করেন।
ইশরাক আরও দাবি করেন,
“সরকারের ভেতরে একটি গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে কাজ করছে। তারা প্রশাসক বসাতে চায় এবং দুর্নীতি ও লুটপাট অব্যাহত রাখতে এই দেরি করছে।”
এ প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন—এই ধরনের উপদেষ্টা পরিষদের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো নিশ্চয়তা আছে কি না।
সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক একহাত নেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল-কেও।
তিনি বলেন,
“আইন উপদেষ্টা বলেছেন, তাদের মতামত না নিয়েই গেজেট প্রকাশ হয়েছে। অথচ, ১০ কার্যদিবসের মধ্যে গেজেট প্রকাশের বাধ্যবাধকতা ছিল। তিনি সময়মতো মতামত না দেওয়ায় নির্বাচন কমিশন নিয়ম মেনেই গেজেট প্রকাশ করেছে। এই নিয়ে এমন মন্তব্য করা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে পরাজিত হন।
তবে গত ২৭ মার্চ ট্রাইব্যুনাল রায়ে তাপসের বিজয় বাতিল করে ইশরাককে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সেই অনুযায়ী, ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে ইশরাককে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে।
এর আগে গেজেট ইস্যু নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়া হলেও, সময়মতো প্রতিক্রিয়া না আসায় কমিশন নিজেই পদক্ষেপ নেয়।
Leave a Reply