বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসান অবশেষে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরছেন। দীর্ঘ ছয় মাস মাঠের বাইরে থাকার পর পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) চলমান আসরে লাহোর কালান্দার্স দলের হয়ে খেলতে শনিবার পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পৌঁছেছেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে লাহোর ফ্র্যাঞ্চাইজি নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে বাংলাদেশ জাতীয় দল ও ঘরোয়া লিগ থেকে দূরে ছিলেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এর সঙ্গে যোগ হয়েছিল আরও একটি ধাক্কা—অবৈধ বোলিং অ্যাকশন। এ কারণে শুধু জাতীয় দলে নয়, বাদ পড়েছিলেন আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি স্কোয়াড থেকেও। তবে সব জট কাটিয়ে গত মাসে সফলভাবে বোলিং অ্যাকশন সংশোধনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন সাকিব। এরপরই খুলে যায় প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার দরজা।
পিএসএলের শুরুর দিকে লাহোর কালান্দার্স দলে সাকিবের নাম ছিল না। তবে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনায় টুর্নামেন্টে বিরতির কারণে অনেক বিদেশি ক্রিকেটার নিজ নিজ দেশে ফিরে যান। এরই মধ্যে একজন ছিলেন নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার ড্যারেল মিচেল। তার জায়গায়ই দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন সাকিব। ইতিমধ্যে তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে এনওসি (No Objection Certificate) সংগ্রহ করেছেন, যা তাকে আসরের বাকি ম্যাচগুলোতে খেলতে অনুমোদন দিয়েছে।
১৭ মে থেকে পুনরায় শুরু হচ্ছে পিএসএল ২০২৫। এখনও একটি লিগ ম্যাচ বাকি আছে লাহোর কালান্দার্সের। আগামী ১৮ মে তারা মুখোমুখি হবে পেশোয়ার জালমি-র বিপক্ষে। জয় পেলে প্লে-অফে যাবে শাহিন শাহ আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন দলটি, আর হারলেই বিদায় নিতে হবে আসর থেকে।
প্রসঙ্গত, লাহোরের হয়ে এই টুর্নামেন্টে এর আগে মাঠ কাঁপিয়েছেন বাংলাদেশের আরেক তরুণ প্রতিভা রিশাদ হোসেন। এবার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার মিশেলে পিএসএলের উত্তাপে নতুন মাত্রা যোগ করতে চলেছেন সাকিব।
একটি সময় বিশ্বক্রিকেটে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষে থাকা সাকিব আল হাসানের এই প্রত্যাবর্তন শুধু তার ভক্তদের জন্যই নয়, বরং উপমহাদেশীয় ক্রিকেটের জন্যও এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। লাহোর কালান্দার্সের হয়ে এই নতুন মিশন তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে আবারও গতি আনতে পারে—এমনটাই প্রত্যাশা ক্রিকেটবিশ্বের।
Leave a Reply