দোহার, কাতার — কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। উপসাগরীয় সফরের দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গত দুই দশকে কাতারে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর।
দোহায় অনুষ্ঠিত এই আলোচনা কেন্দ্রীয়ভাবে ঘুরপাক খেয়েছে নিরাপত্তা সহযোগিতা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে।
এর আগে দিনটিতে সৌদি রাজধানী রিয়াদে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (GCC) সম্মেলনে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেন, “আমাদের সম্পর্ক কেবল কৌশলগত নয়, এটি নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি এবং শান্তির ওপর ভিত্তি করে গড়া।”
কাতার পর্ব: আমিরের সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় যৌথ উদ্যোগ, শক্তি খাতের সহযোগিতা এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদারের বিষয়।
সৌদি আরব সফর: সফরের প্রথম দিন রিয়াদে ট্রাম্পকে দেওয়া হয় রাজকীয় অভ্যর্থনা। সফর শেষে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের একটি বিশাল সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা সৌদি আরবের যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতির অংশ।
সিরিয়া ইস্যু: সম্মেলনের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারারার সঙ্গেও বৈঠক করেন। এই বৈঠকটি আসে একদিন পর, যখন তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন — যা ওয়াশিংটনের মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে চারদিনের উপসাগরীয় সফর শেষ করবেন। সেখানে মূল আলোচ্য বিষয় হবে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন।
এই উপসাগরীয় সফর স্পষ্টতই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন কূটনীতির পুনর্গঠনে একটি নতুন ধারা শুরু হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থনৈতিক কূটনীতি ও প্রতিরক্ষা পুনর্বিন্যাসের ওপর গুরুত্ব ওয়াশিংটনের আঞ্চলিক কৌশলের দিক পরিবর্তনের দিকেই ইঙ্গিত করছে।
Leave a Reply