পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে এ পর্যন্ত সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৩৮ হাজার ৫৭০ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী, যাদের মধ্যে রয়েছেন সরকারি প্রতিনিধি ও ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্টরাও।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, সৌদি আরবের স্থানীয় সময় রবিবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত এই তথ্য হালনাগাদ করা হয়েছে (বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ৫৯ মিনিট)।
সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চলেছে হজযাত্রা এ পর্যন্ত পৌঁছানো হজযাত্রীর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৪,৫৬৪ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৩৪,০০৬ জন। হজযাত্রী পরিবহনে পরিচালিত হয়েছে মোট ৯৬টি ফ্লাইট — এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৪৭টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ৩৩টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ১৬টি।
যাত্রী পরিবহনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে — তাদের মাধ্যমে পৌঁছেছেন ১৮,৮৫০ জন। সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ১২,৯৬২ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৬,৭৫৮ জন হজযাত্রী।
এবারের হজ মৌসুমে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য মোট ৮৬,২১৩টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় শতভাগ ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সম্পন্ন হয়েছে ৯৯ শতাংশ।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীর জন্য নির্ধারিত কোটা ৫,২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১,৯০০ জন। হজ ব্যবস্থাপনায় ধর্ম মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এজেন্সির সংখ্যা ৭০টি।
মক্কা পৌঁছেছেন ৮২৯ জন, হজযাত্রীর প্রথম মৃত্যু ৬ জন এদিকে সরকারি ব্যবস্থাপনার ১০ম ও ১১তম ফ্লাইটের ৮২৯ জন হজযাত্রী মদিনায় ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় শেষে রবিবার সকাল ৭টায় নিরাপদে মক্কা পৌঁছেছেন।
দুঃখজনকভাবে, সৌদি আরবে অবস্থানরত হজযাত্রীদের মধ্যে এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ এবং একজন নারী। মক্কা ও মদিনায় সমান সংখ্যক (প্রতিটি শহরে তিনজন করে) হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেন। সর্বশেষ শনিবার মৃত্যুবরণ করেন নীলফামারী সদরের মোহাম্মদ বয়েজ উদ্দিন (৭২) — ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রী পরিবহনের ফ্লাইট কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২৯ এপ্রিল থেকে এবং তা চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন এবং শেষ হবে ১০ জুলাই। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে, এ বছরের পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ৫ জুন।
বিশ্লেষকরা বলেন প্রতি বছর বাংলাদেশি মুসলমানদের অংশগ্রহণে বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় জমায়েতে হজ একটি সাংস্কৃতিক, আধ্যাত্মিক ও কূটনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। ব্যবস্থাপনা, পরিবহন, ভিসা ও চিকিৎসাসেবার প্রতিটি স্তরে সমন্বয়হীনতা যেন হজযাত্রীদের যাত্রাকে ব্যাহত না করে — এই প্রত্যাশাই রয়ে যায় সবার।
Leave a Reply