অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নির্বাচনে ফের একবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ক্ষমতায় ফিরেছে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি। এর মধ্য দিয়ে আলবানিজ হয়ে উঠলেন গত দুই দশকে প্রথম অস্ট্রেলীয় নেতা, যিনি পরপর দুটি সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রিত্ব নিশ্চিত করলেন।
বিজয়ী ভাষণে উন্নয়ন ও ঐক্যের বার্তা
সিডনিতে লেবার পার্টির সদর দফতরে বিজয়োত্তর বক্তব্যে আলবানিজ বলেন,
এই বিজয় শুধু একটি দলের নয়, বরং একটি টেকসই অর্থনীতি ও ঐক্যবদ্ধ অস্ট্রেলিয়ার জন্য দেশের জনগণের রায়।
তিনি জানান, তার সরকার প্রাধান্য দেবে বয়স্কদের যত্ন, তরুণদের উন্নয়নে বিনিয়োগ এবং জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপে। ভাষণে বারবার উঠে আসে সামাজিক কল্যাণ ও পরিবেশগত স্থিতিশীলতার গুরুত্ব।
পরাজয়ের দায় স্বীকার করলেন বিরোধীদলীয় নেতা
অন্যদিকে, রক্ষণশীল লিবারেল পার্টির নেতা পিটার ডাটন ফলাফল মেনে নিয়ে আলবানিজকে টেলিফোনে অভিনন্দন জানান এবং পরাজয়ের পূর্ণ দায় নিজের কাঁধে নেন।
একইসঙ্গে এক নজিরবিহীন ঘটনার জন্ম দেন ডাটন—প্রথম কোনো বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে নিজ আসন হারানোর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তিনি।
২২ এপ্রিল শুরু হয়ে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা এই নির্বাচন শেষ হয় ৩ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায়। এবারের নির্বাচনে ১ কোটি ৮০ লাখ ভোটারের মধ্যে ৮৫ লাখের বেশি নাগরিক ভোট দিয়েছেন, যা ২০২২ সালের চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেশি।
উল্লেখযোগ্যভাবে, অস্ট্রেলিয়ায় ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক হওয়ায় টার্নআউট বরাবরের মতোই ছিল উঁচু মানের, তবে এবারের ভোটে তরুণ ভোটারদের অংশগ্রহণ এবং জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি ছিল মুখ্য ইস্যু।
যুক্তরাষ্ট্রের নীতিমালা, বিশেষত ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সময় থেকে আরোপিত বাণিজ্য শুল্ক, এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির টানাপোড়েনও ভোটার মানসিকতায় প্রভাব ফেলেছে।
Leave a Reply