ভোটের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে দলটি আগামি নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষক পাঠানোর অনুরোধও জানিয়েছে।
রোববার (২৭ এপ্রিল) মগবাজারে জামায়াতের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এসব তথ্য জানান।
ডা. তাহের জানান, তারা নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বাড়াতে সিসি ক্যামেরা বসানোর পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখা এবং একই ব্যক্তি যাতে দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারে, সে বিষয়ে ইইউ প্রতিনিধিদের অবহিত করেছেন।
নারীর অংশগ্রহণ নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। ডা. তাহের বলেন, জামায়াতে ইসলামীতে ৪৩ শতাংশ নারী সদস্যের অংশগ্রহণকে ইইউ ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে। এছাড়া, যৌনকর্মীদের লাইসেন্স প্রদানের মতো নীতির বিরোধিতা করে নারীর মর্যাদা রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়, যেখানে ইইউ প্রতিনিধি দলও একমত প্রকাশ করেছে।
এদিনের বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ এবং পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।
অন্যদিকে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও একই দিনে জামায়াতের পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জামায়াতের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে স্বাধীন আরাকান রাজ্য প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর প্রধান পেং জিউবিন। ডা. তাহের বলেন, “রোহিঙ্গাদের কেবল খাবার বা আশ্রয় দেওয়া সমাধান নয়, তাদের নিজ ভূমিতে নিরাপদ পুনর্বাসনই হচ্ছে স্থায়ী সমাধান।”
Leave a Reply