দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় ভবেশ চন্দ্র রায় (৫৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। দেশটির দাবি ‘ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “ভবেশ রায়ের মৃত্যুকে বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর সংগঠিত নিপীড়নের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে তুলে ধরা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অযৌক্তিক। আমরা এই অমূলক দাবি সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে কাউকে বৈষম্যের শিকার হতে হয় না। সরকার সব ধর্মের মানুষকে সমান অধিকার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।”
ভবেশ রায়ের মৃত্যুর প্রসঙ্গে প্রেস সচিব জানান, তিনি পরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে বাইরে গিয়েছিলেন এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো সন্দেহজনক পরিস্থিতির কথা জানানো হয়নি। ময়নাতদন্তে শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ভিসেরা পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
শফিকুল আলম আরও বলেন, “আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি এই বিষয়ে ভুল তথ্য ও উসকানিমূলক বক্তব্য না ছড়াতে।”
এর আগে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে ভবেশ রায়ের মৃত্যুকে সংখ্যালঘুদের ওপর ধারাবাহিক নিপীড়নের অংশ বলে মন্তব্য করেন এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
Leave a Reply