আশা, ভালোবাসা ও নবজীবনের প্রতীক হিসেবে সারাদেশে ভাবগম্ভীর পরিবেশে উদ্যাপন করা হয়েছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম পবিত্র উৎসব ইস্টার সানডে। যিশুখ্রিস্টের পুনরুত্থানের স্মরণে প্রতিটি গির্জায় অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ প্রার্থনা, সঙ্গীত পরিবেশনা ও আলোর আয়োজন।
রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল থেকেই রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রানী গির্জাসহ দেশের বিভিন্ন গির্জায় ভিড় জমে বিশ্বাসীদের। তারা প্রার্থনায় অংশ নিয়ে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করেন এবং নতুন সূচনার প্রত্যাশায় প্রার্থনায় শামিল হন।
খ্রিস্টান ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী, যিশুখ্রিস্ট মানবজাতির পাপমোচনের জন্য ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন এবং মৃত্যুর তৃতীয় দিনে পুনরুত্থিত হন। এই পুনরুত্থান বিশ্বাসীদের কাছে শুধু একটি ঐতিহাসিক ঘটনা নয়—বরং এটি প্রতিটি সংকটে আশার আলো দেখার প্রেরণা।
ইস্টার উপলক্ষে অনেকেই অংশ নিয়েছেন ৪০ দিনের উপবাসে, যা আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ অনুশীলন হিসেবে বিবেচিত। প্রার্থনার পাশাপাশি এই উৎসব পরিণত হয় এক মানসিক ও আত্মিক নবজাগরণে। নতুন পোশাকে সজ্জিত হয়ে সব বয়সী মানুষ অংশ নেন এ আয়োজনে।
বিশ্বাসীদের ভাষায়, ইস্টার সানডে কেবল ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়; এটি ক্ষমার শক্তি, মানবতার বার্তা ও ভালোবাসার জয়গান।
Leave a Reply