যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট পুরোনো যুদ্ধকালীন আইনের অধীনে অভিবাসীদের হঠাৎ বহিষ্কারের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছে, যা ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে নতুন এক আইনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে আদালত এক আদেশে জানায়, ভেনেজুয়েলার দুই পুরুষকে এল সালভাদরে পাঠানোর পরিকল্পনা আপাতত বন্ধ রাখতে হবে। আদালত নির্দেশ দেয়, পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত আটক অভিবাসীদের কাউকেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা যাবে না।
এই রায় এসেছে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের (ACLU) একটি জরুরি আবেদনের পর, যেখানে বলা হয়, অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ১৭৯৮ সালের ‘Alien Enemies Act’-এর আওতায় পুরনো আইনের অপব্যবহার করে নির্বাসন কার্যক্রম চালু করেছে।
ACLU বলছে, অভিবাসন প্রক্রিয়ায় যথাযথ শুনানি ও ন্যায্য সময় না দিয়ে ভেনেজুয়েলার ‘ট্রেন দে আরাগুয়া’ গ্যাংয়ের সন্দেহভাজন সদস্যদের একপ্রকার শক্তিপ্রয়োগে সালভাদরের সর্বোচ্চ-নিরাপত্তা কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট পূর্বে বলেছিল, কেউ যাতে আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না হারায়, সেটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাসন আইনসঙ্গত নয়।
তবে সুপ্রিম কোর্টের নয় বিচারকের মধ্যে দুইজন—ক্ল্যারেন্স থমাস ও স্যামুয়েল আলিটো—এই আদেশে দ্বিমত পোষণ করেন।
ACLU’র আইনজীবী লি গেলার্ন্ট জানান, “এই রায় আমাদের জন্য স্বস্তির। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া যেসব মানুষকে নির্বাসনের মুখোমুখি করা হচ্ছিল, তারা চরম ঝুঁকিতে ছিলেন।”
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যে ভুলক্রমে এক বাসিন্দা কিলমার গার্সিয়াকে নির্বাসিত করেছে বলে স্বীকার করলেও, তাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মেনে চলতে অস্বীকৃতি জানায়।
ডেমোক্রেট সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন যিনি সম্প্রতি এল সালভাদরে গার্সিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, বলেন, “এটি শুধু একজন ব্যক্তির বিষয় নয়—এটি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী সকলের মৌলিক অধিকার ও সাংবিধানিক সুরক্ষার প্রশ্ন।”
হোয়াইট হাউস এই বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
Leave a Reply