দীর্ঘ দেড় মাস পর মাঠে ফিরেছিলেন নেইমার, তাও আবার এক বিশেষ উপলক্ষ নিয়ে—সান্তোসের জার্সিতে নিজের শততম ম্যাচ খেলতে। কিন্তু ইনজুরি যেন বারবারই ছায়ার মতো পিছু নিচ্ছে এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে। ফিরে এসেই দ্বিতীয় ম্যাচে আবারও পড়লেন চোটে। ইনজুরির আঘাতে মাঠ ছাড়তে হলো চোখে জল নিয়ে।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) ব্রাজিলিয়ান সিরি আ’তে অ্যাতলেতিকো মিনেইরোর বিপক্ষে সান্তোসের হয়ে প্রথম একাদশে ছিলেন নেইমার। ম্যাচটি ঘরের মাঠ ভিলা বেলমিরোতে খেলেছিলেন ১০০ নম্বর জার্সিতে, সাদা গজফিতা পায়ে বেঁধে, যেন নিজেকে রক্ষা করা যায় পুরোনো ইনজুরি থেকে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি—ম্যাচের ৩৪তম মিনিটেই বাঁ পায়ের উরুতে চোট পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
ম্যাচের শুরুতে উরুতে অস্বস্তি দেখা গেলেও চেষ্টা করেছিলেন খেলে যাওয়ার। কিন্তু দ্বিতীয় গোলের পর আর পারেননি। বদলি খেলোয়াড় নামানোর ইঙ্গিত দেন, এরপরই মাটিতে পড়ে যান এবং মাঠ ছাড়ার জন্য সহায়তা চান। মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়া নেইমারকে সান্ত্বনা দেন দুই দলের খেলোয়াড়রা, যার মধ্যে ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থ হাল্কও।
নেইমারের এই ইনজুরি নতুন নয়—একই জায়গায় ঠিক এক মাস আগে ইনজুরি পেয়ে ছয় সপ্তাহ মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। সেই চোটই এবার যেন আবার ফিরে এসেছে। মাঠ ছাড়ার পরপরই তার চিকিৎসা শুরু হয়, বাঁ পায়ের উরুতে বরফ দেওয়া হয়।
২০২৩ সালের অক্টোবরেও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে এএলসিআই ইনজুরিতে পড়েছিলেন নেইমার। এরপর থেকেই জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামা হয়নি তার। সর্বশেষ তিনি কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচ মিস করেন উরুর ইনজুরির কারণেই।
সৌদি ক্লাব আল হিলাল থেকে ফিরে ঘরের মাঠে খেলতে এসে নেইমারের প্রত্যাবর্তন যতটা আবেগঘন হওয়ার কথা ছিল, ইনজুরি তা ভেঙে দিচ্ছে প্রতিবার। এখন প্রশ্ন উঠছে—এই ধারাবাহিক ইনজুরির মাঝে কি ২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের জার্সি গায়ে চাপানো সম্ভব হবে নেইমারের?
Leave a Reply