জাপানের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনায় “বড় অগ্রগতি”র দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তার শুল্কনীতি ঘিরে অনিশ্চয়তা বিশ্ব অর্থনীতি ও মার্কিন শেয়ারবাজারে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।
বুধবার ওয়াশিংটনে জাপানি প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক আলোচনায় বসে ট্রাম্প বলেন,
জাপানের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা ছিল আমার জন্য সম্মানের। বড় অগ্রগতি হয়েছে!
এই মন্তব্য তিনি নিজ প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করেন। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক এবং জাপানের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন মন্ত্রী রিওসেই আকাজাওয়া।
চুক্তি নিয়ে সময়সীমার চাপ আকাজাওয়া জানান, ট্রাম্প চান ৯০ দিনের শুল্ক বিরতির সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে। জাপানও দ্রুত একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে আগ্রহী। যদিও আলোচনা সহজ হবে না, তবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ের এই সংলাপ ভবিষ্যতের পথ উন্মুক্ত করেছে।
জাপান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদারদের একজন এবং গাড়ি, ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের মতো পণ্যে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কের মুখোমুখি। ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কনীতি ‘পারস্পরিকতা’ ভিত্তিক হলেও এতে বিশ্ববাজারে ধস নামার সম্ভাবনা বাড়ছে।
ওয়াল স্ট্রিটে ইতিমধ্যে এর প্রভাব পড়েছে। S&P 500 সূচক ২.২৪ শতাংশ এবং প্রযুক্তিভিত্তিক Nasdaq কম্পোজিট ৩.০৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বলেন, ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি মার্কিন অর্থনীতিকে একসাথে মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের দ্বৈত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে। তিনি সতর্ক করে বলেন, “আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে যেতে পারি যেখানে আমাদের অর্থনৈতিক লক্ষ্যগুলো একে অপরের সঙ্গে সংঘাতে পড়বে।”
জাপানে ফুজিৎসুর প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্টিন শুলজ বলেন, “জাপান মার্কিন অর্থনীতির সঙ্গে এতটাই গভীরভাবে যুক্ত যে এই আলোচনাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও বাণিজ্য যুদ্ধে কেউ বিজয়ী হয় না, তবুও আমরা আশাবাদী যে যৌক্তিক সমাধান সম্ভব।”
এদিকে বৃহস্পতিবার এশিয়ার বাজার কিছুটা স্থিতিশীলতা দেখিয়েছে। টোকিওর Nikkei 225, দক্ষিণ কোরিয়ার KOSPI এবং হংকংয়ের Hang Seng সূচক প্রাথমিক লেনদেনে ০.৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
Leave a Reply