চীনের ওপর শুল্কহার আরও এক ধাপ বাড়িয়ে ২৪৫ শতাংশে উন্নীত করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির মধ্যে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনাকে আরও জটিল করে তুলেছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, “প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে” এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা মার্কিন বাজারে চীনা পণ্যের প্রবেশে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা শুল্ক যুদ্ধ যেন আবারও তীব্রতর হচ্ছে। প্রথমে ২০ শতাংশ, এরপর ধাপে ধাপে ৩৪, ৫০, ১২৫ এবং সর্বশেষ ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। চীনের পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে মার্কিন পণ্যের ওপরও ধাপে ধাপে শুল্ক বাড়ানো হয়, যা শেষ পর্যন্ত ১২৫ শতাংশে গিয়ে ঠেকে।
তবে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র চূড়ান্তভাবে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ২৪৫ শতাংশে উন্নীত করার ঘোষণা দেয়, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। হোয়াইট হাউস বলছে, এই পদক্ষেপ মার্কিন উৎপাদকদের সুরক্ষা এবং চীনের ‘অবিচারমূলক বাণিজ্য চর্চা’র বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা হিসেবে কাজ করবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই উচ্চ শুল্কহার বৈশ্বিক বাজারে প্রভাব ফেলতে পারে এবং প্রযুক্তি ও ভোক্তাপণ্যের দামে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। একই সঙ্গে এটি উভয় দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কেও নতুন চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
Leave a Reply