পরমাণু চুক্তি নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হলেও, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর কোনোভাবেই আস্থা রাখতে পারছেন না ইরানের সাধারণ মানুষ। তাদের মতে, অতীতের অভিজ্ঞতা স্পষ্ট করেছে—ওয়াশিংটন বারবার প্রতিশ্রুতি ভেঙেছে এবং ইরানকে প্রতারণার মুখে ফেলেছে।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তিতে ইরান নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। তবুও, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়নি। আর ২০১৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চুক্তি থেকে একতরফা সরে যাওয়াকে ইরানিরা দেখছেন ‘বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীক’ হিসেবে।
সম্প্রতি, ওমানে অনুষ্ঠিতব্য নতুন আলোচনাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মহলে আশার সঞ্চার হলেও ইরানিরা আশাবাদী হতে পারছেন না। অনেকেই এই আলোচনাকে ‘প্রহসন’ ও ‘রাজনৈতিক চাল’ হিসেবে দেখছেন। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র কেবল নিজেদের স্বার্থই দেখে এবং চুক্তির প্রতিশ্রুতি রক্ষায় বরাবরই ব্যর্থ।
তেহরানের এক নাগরিক বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ আলোচনায় বিশ্বাসী, কিন্তু পূর্বেও আমেরিকা প্রতিশ্রুতি ভেঙেছে। এবার যদি সত্যিই তারা দায়িত্ব নেয়, তবেই আলোচনার সুফল আসতে পারে।”
বিশ্লেষকদের মতে, পূর্বের ব্যর্থতা ও বর্তমান অনিশ্চয়তার মিশ্রণে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় আস্থা ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Leave a Reply