বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে উৎসবের রঙে রঙিন হয়ে উঠছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। আসন্ন পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। বর্ণিল মুখোশ, রঙিন মোটিফ এবং বিশাল কাঠামো তৈরিতে দিন-রাত কাজ করে চলেছেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা।
শোভাযাত্রায় থাকছে প্রতিবাদের প্রতীক ও ঐক্যের আহ্বান
এ বছরের শোভাযাত্রায় থাকছে ফ্যাসিবাদবিরোধী বার্তা ও ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতির প্রতীকচিহ্ন। রাজা-রানীর মুখোশ, বাঘ, পেঁচা, ইলিশ মাছ, পাখি ও নানা রকম ফুলের চিত্রকর্মের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। বাঁশ, কাঠ ও কাগজ দিয়ে নির্মিত এসব শিল্পকর্মের মাধ্যমে শুধু নববর্ষ উদযাপন নয়—উঠে আসছে সামাজিক ও রাজনৈতিক বার্তাও।
চারুকলার প্রাঙ্গণে এখন একটানা চলছে প্রতিমা, মুখোশ ও মোটিফ তৈরির কাজ। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতায় ফুটে উঠছে গ্রামীণ বাংলার চিরচেনা রূপ এবং আধুনিক বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রতিচ্ছবি।
পুরোনো ঐতিহ্যে ফেরার বার্তা উপাচার্যের
ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, শোভাযাত্রার পুরোনো নাম ও ঐতিহ্যে ফিরে যাওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “শোভাযাত্রার মূল বার্তায় দুটি দিক তুলে ধরা হবে—একটি হচ্ছে স্বৈরাচারী ও দমনমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, অন্যটি ঐক্য ও সম্প্রীতির ডাক।”
তিনি আরও জানান, জুলাইয়ের ঘটনার প্রতিফলনও থাকবে এ আয়োজনের প্রতীকচিহ্নে। “মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ ও জাতিগত সংহতি—এই দুটি দিককে প্রাধান্য দিয়ে আমরা আমাদের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই,” বলেন তিনি।
আয়োজন ঘিরে পরিবর্তন আসছে যাতায়াতে
শোভাযাত্রার দিন, অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোরেল স্টেশন বন্ধ থাকবে—এ তথ্য জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
Leave a Reply