বিশ্ববাণিজ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করে অবশেষে নিজস্ব মুদ্রার ওপরও প্রভাব ফেলেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর শুল্কনীতি। গতকাল শুক্রবার (১১ এপ্রিল) তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো মার্কিন ডলারের মান রেকর্ড পরিমাণে কমে গেছে।
ডলারের পতনের পেছনে কী?
ডলার সূচক (DXY) অনুসারে, শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ডলারের মান ৯৯.০১-এ নেমে আসে, যা গত এক বছরে প্রায় ৮ শতাংশ পতনের প্রতিফলন। মার্কিন সাময়িকী Forbes-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পতনের প্রধান কারণ হচ্ছে ট্রাম্পের ঘোষিত অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক—যা একসঙ্গে বহু দেশের বিরুদ্ধে আরোপ করা হয়।
এই শুল্ক ঘোষণার পরপরই আন্তর্জাতিক বাজারে নড়েচড়ে বসে বিনিয়োগকারীরা। এশিয়া, ইউরোপ এবং আমেরিকার স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধরনের ধস নেমে আসে। বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রবাহে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, যার সরাসরি প্রভাব পড়ে ডলারের বিনিময় মূল্যে।
বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া ও ডলারের ভবিষ্যৎ
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মুদ্রা হওয়ায় ডলারের পরিবর্তনে অন্যান্য মুদ্রার মানেও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ট্রাম্প পরে চীন ব্যতীত অন্যান্য দেশের জন্য তিন মাসের শুল্ক স্থগিত করলেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা অনেকটাই নড়ে গেছে।
বিদেশি মুদ্রার লেনদেন যেহেতু এক দেশের মুদ্রা দিয়ে অন্য দেশের মুদ্রা কেনাবেচার মাধ্যমে হয়, তাই ডলারের দরপতন সরাসরি প্রভাব ফেলছে বৈশ্বিক ‘এক্সচেঞ্জ রেট’-এর ওপরও।
Leave a Reply