চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসেই বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে এসেছে ২১.৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রেমিট্যান্স। যেখানে গত পুরো অর্থবছরে (২০২৩-২৪) মোট রেমিট্যান্স এসেছিল প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সুশাসন ও স্বচ্ছতা ফিরেছে। পাশাপাশি ভারতীয় হুন্ডি ব্যবসায়ীদের প্রভাব কমে আসায় প্রবাসীরা এখন বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন।
২০২৪ সালের মার্চ মাসেই দেশে এসেছে ৩.২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স—যা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসেবে)। আগের বছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ১.৯৯ বিলিয়ন ডলার। এতে বছরে প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ৬৪.৭০ শতাংশে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, এখন টাকা পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে তা হিসাবভুক্ত হচ্ছে এবং তথ্য প্রকাশে স্বচ্ছতা থাকায় পরিসংখ্যান সঠিকভাবে উঠে আসছে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, অতীতে হুন্ডি ব্যবসায় ভারতীয় মাফিয়া চক্রের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার কারণে প্রবাসীরা বিকল্প পথ বেছে নিতে বাধ্য হতেন। তবে বর্তমান বাস্তবতায় হুন্ডির সেই অবৈধ চক্র অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। এতে বৈধ চ্যানেলের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে প্রবাসীদের।
এমআরএ-এর নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, “হুন্ডি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি প্রবাসীদের জন্য সহজ ও আকর্ষণীয় সেবা অব্যাহত রাখতে হবে। পাশাপাশি বাণিজ্য খাতে যৌক্তিক শুল্ক নির্ধারণও গুরুত্বপূর্ণ।”
বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতেও প্রতি মাসে রেমিট্যান্সের প্রবাহ তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
Leave a Reply