ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অবসান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে। রোববার (২৩ মার্চ) ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল এ আলোচনায় অংশ নেয়। কিয়েভ জানিয়েছে, এই বৈঠক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, জ্বালানি নিরাপত্তা ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষার বিষয় বৈঠকে আলোচিত হয়েছে। এই আলোচনা যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে আসন্ন সংলাপের প্রস্তুতি হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়।
মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ রিয়াদ বৈঠককে ইউরোপের দীর্ঘমেয়াদী সংঘাতের অবসানের পথে অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন। তিনি ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন—
আমি মনে করি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শান্তি চান। রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার আলোচনায় আমরা ইতিবাচক অগ্রগতি দেখতে পাবো।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও বৈঠকের ফলাফলকে ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন,
আমাদের প্রতিনিধিদল গঠনমূলকভাবে কাজ করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কার্যকর আলোচনা হয়েছে।
পুতিনের অবস্থান ও যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা
তবে জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেন,
যতই আলোচনা হোক, যুদ্ধ থামাতে হলে পুতিনকে অবশ্যই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং ইউক্রেনে হামলা বন্ধের নির্দেশ দিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে পুতিন ৩০ দিনের জন্য জ্বালানি অবকাঠামোয় হামলা বন্ধের ট্রাম্পের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন, তবে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হননি।
বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ। তিনি জানান,
এই ধরনের কূটনৈতিক সংলাপের মূল লক্ষ্য শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
যদিও জেলেনস্কি বৈঠককে ‘প্রাথমিক টেকনিক্যাল আলোচনা’ বলে উল্লেখ করেছেন, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন—এই সংলাপ যুদ্ধের সমাপ্তির পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হয়ে উঠতে পারে।
Leave a Reply