ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় দক্ষিণ গাজার প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র, খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রবিবার (২৩ মার্চ) রাতে হাসপাতালের সার্জিক্যাল ভবনে চালানো হামলায় দুইজন নিহত এবং অন্যদের আহত হওয়ার পাশাপাশি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে, জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
নিহতদের মধ্যে একজন ১৬ বছর বয়সী কিশোর, যিনি মাত্র দুই দিন আগে অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন। এছাড়া, হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইসমাইল বারহুমও হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন, যিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল নতুন করে গাজায় হামলা শুরু করার পর নাসের হাসপাতাল আহতদের দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল। হাসপাতালটিতে যুদ্ধের শিকার অসংখ্য মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছিলেন, এমন পরিস্থিতিতেই সেখানে হামলা চালানো হলো।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য ছিল হামাসের একজন সদস্য। তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, হামলার ফলে বেসামরিক মানুষও হতাহত হয়েছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বরাবরের মতো দাবি করেছেন যে, গাজায় পরিচালিত ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থান নিয়ে হামলার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য অবকাঠামোর ওপর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ নাসের হাসপাতাল শুধু একটি চিকিৎসাকেন্দ্রই নয়, বরং গাজার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য অবকাঠামো। সংঘাতের মধ্যে গাজার অন্যান্য হাসপাতালের মতো এটিও ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
এই হামলার ফলে গাজার চিকিৎসা ব্যবস্থার সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে, যেখানে জরুরি পরিষেবা কার্যক্রম চালানো ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে।
Leave a Reply