বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতে দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (NBFI) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ (DFIM) নতুন নির্দেশনা জারি করেছে, যা সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (MD) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (CEO) কাছে পাঠানো হয়েছে।
বিদেশ ভ্রমণে নতুন নির্দেশনা: কী পরিবর্তন আসছে?
২০২২ সালের ২৯ মে একটি সার্কুলারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ, স্টাডি ট্যুর, এক্সপোজার ভিজিট, সভা ও সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সরকারের মিতব্যয়ী নীতির অংশ হিসেবে নেওয়া ওই পদক্ষেপে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণের বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছিল।
তবে নতুন নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্রয়োজনীয় দাফতরিক কাজের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব নীতিমালা অনুসরণ করে যথাযথ অনুমোদন নিয়ে কর্মকর্তারা বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নতুন সিদ্ধান্তের ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবেন, যা তাদের পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা উন্নত করতে সহায়ক হবে। তবে যেসব কর্মকর্তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পৃথক নির্দেশনা রয়েছে, তাদের অবশ্যই সেসব নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
আইনগত ভিত্তি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০২৩-এর ৪১(২) (ঘ) ধারা অনুযায়ী এই নির্দেশনা জারি করেছে। এটি অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ও উন্নয়নের অংশ হিসেবে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা রাখবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিদেশি বিনিয়োগ, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং গ্লোবাল বেস্ট প্র্যাকটিস শিখতে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। পাশাপাশি, আর্থিক খাতের দক্ষতা বৃদ্ধির ফলে দেশীয় বিনিয়োগ পরিবেশ আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Leave a Reply