মহান বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে সাভার,আশুলিয়া, ধামরাই, কালিয়াকৈর সহ দেশের ও দেশের বাহিরের সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সাংবাদিক মোঃ শামীম আহমেদ।
সাংবাদিক মোঃ শামীম আহমেদ তার বানিতে জানান, ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বোচ্চ অর্জনের ও আত্ম গৌরবের একটি দিন।
১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি বিজয় ছিনিয়ে আনেন।
বাঙালি জাতির ইতিহাস হাজার বছরের পরাধীনতার ইতিহাস। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের হাত থেকে ভারতীয় উপমহাদেশ স্বাধীন হলেও এই ভুখণ্ডের বাঙালির স্বাধীনতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আসেনি।
১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত বিভক্ত হয় এবং পূর্ব বাংলাকে নিয়ে পাকিস্তান নামে একটি অসম রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। তখন থেকেই পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী বাঙালির ওপর চেপে বসে এবং শাসন, শোষণ ও নির্যাতনের স্টিম রোলার চালায়। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জাতি ১৯৭১ সালে উপনীত হয়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আধুনিক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাঙালি জাতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে।
এরই প্রেক্ষাপটে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
শুরু হয় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ।
বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে বন্দি করে রাখা হয়। তাঁর অনুপস্থিতিতেই তাকে রাষ্ট্রপতি করে গঠিত বাংলাদেশের সরকারের অধীনে পরিচালিত দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। এই বিজয় অর্জনে মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের।
মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান আর ০২ লাখ মা-বোনের ত্যাগ-তিতিক্ষায় এই বিজয় অর্জিত হয়। কোটি বাঙালির আত্মনিবেদন ও গৌরব গাঁথা গণবীরত্বে পরাধীনতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পায় বাঙালিজাতি। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে মুক্তির আকাঙ্খায় উজ্জীবিত করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের পথে এগিয়ে নিয়ে যান।
এরপর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’… যার কাছে যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে’ খ্যাত কালজয়ী ভাষণ ও পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতিকে চূড়ান্তভাবে উদ্বুদ্ধ করেন।
২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিলে তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঙালি জাতি।
বাঙালির এই মুক্তিযুদ্ধে পাশে দাঁড়ায় প্রতিবেশী দেশ ভারত, সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রগতিশীল রাষ্ট্রের সরকার ও মুক্তিকামী মানুষ। শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে মুক্তিযুদ্ধে এগিয়ে যায় বাঙালি।
পরিশেষে ঢাকা প্রেস ক্লাবের সাবেক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউজ ক্লাবের ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক, সি এন এন বাংলা টিভির সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার,দৈনিক আমাদের অর্থনীতি পএিকার আশুলিয়া, সাভার প্রতিনিধি মোঃ শামীম আহমেদ আরো বলেন আমি একজন সাংবাদিক হিসেবে বলবো সকল সাংবাদিক এক হয়ে কাঁদে কাদ মিলিয়ে কাজ করতে হবে আমাদের ভিতরে কোন ভেদাভেদ রাখা যাবেনা। তাহলে আমরা জাতির বিবেক হিসেবে সমাজের জন্য ভালো কিছু উপহার দিতে পারবো।আমাদের কলম চলবে সত্যির পথে। কোন অন্যায়কে আমরা সমর্থন করবো না।অন্যায় কারিকে আমরা আমাদের সত্যির লিখনির মধ্যে দিয়ে আইনের কাছে সোপর্দ করবো। সাদা কে সাদা বলবো,কালো কে কালো বলবো। আমরা সাংবাদিক সত্যির পক্ষে অন্যায়ের বিপক্ষে। সেই সাথে আবারও সকলকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
Leave a Reply