চলতি ২০২৫ সালেই ইউক্রেন প্রায় ৫ লাখ সেনা হারিয়েছে—এমন দাবি করেছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রে বেলোসভ। স্থানীয় সময় বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন–এর উপস্থিতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চপর্যায়ের বোর্ড সভায় তিনি এই তথ্য তুলে ধরেন।
বেলোসভের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ইউক্রেনীয় বাহিনীর যুদ্ধক্ষমতা প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। এর ফলে কিয়েভ জোরপূর্বক বেসামরিক নাগরিকদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেও সেনা ঘাটতি পূরণ করতে পারছে না।
তিনি আরও জানান, চলতি বছরে ইউক্রেন ১ লাখ ৩ হাজারের বেশি অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম হারিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫ হাজার ৫০০টি পশ্চিমা তৈরি অস্ত্র, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বলে দাবি করা হয়।
২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেন ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়। গত বছর সেনা নিয়োগের বয়সসীমা ২৭ থেকে কমিয়ে ২৫ বছর করা হয়, যা পরিস্থিতির কঠোরতারই ইঙ্গিত বলে মন্তব্য করেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক সভায় তিনি বলেন, ইউরোপ যদি শান্তির উদ্যোগে বাধা দেয়, তাহলে মস্কো ইউক্রেনের আরও ভূখণ্ড দখল করবে।
পুতিনের মতে, রাশিয়া শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজেছে, তবে সেই সুযোগ কাজে লাগানো হয়নি—এর দায় ইউরোপীয়দেরই।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.