গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫৪ জনকে আটক করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। ৪ মে (রোববার) রাতভর অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব ব্যক্তিকে আটক করা হয়। হামলাকারীদের মধ্যে যুবলীগের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরাও রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল ইসলাম সময় সংবাদকে জানান, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের সদস্য মো. নিজাম উদ্দিন এবং শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদ কাশিমপুর থানা শাখার সভাপতি মাসুম আহমেদ দিপুর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকিদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরতে পুলিশ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করবে বলেও জানান তিনি।
হামলার বিষয়টি প্রথম সামনে আসে এনসিপির আরেক মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে। তিনি জানান, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ১০–১২ জন সশস্ত্র হামলাকারী হাসনাতের গাড়িতে আক্রমণ চালায়। গাড়ির জানালার কাচ ভেঙে যায় এবং হামলায় হাসনাত আহত হন, তার হাত রক্তাক্ত হয়। সারজিস সামাজিক মাধ্যমে লোকেশন শেয়ার করে আশপাশের নেতাকর্মীদের দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাসনাতকে রক্ষার আহ্বান জানান।
হামলার ঘটনার জেরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এনসিপি নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, পাশাপাশি হামলার পেছনে দায়ীদের গ্রেপ্তারে জোর তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এই হামলার পেছনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা ও সংগঠনের সম্পৃক্ততা নিয়ে পুলিশ এখন তদন্তে নেমেছে। জনমনে নিরাপত্তা ও সুশাসনের প্রশ্ন আবারও সামনে এনে দিয়েছে এই সহিংস হামলার ঘটনা।
Leave a Reply