ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস সম্প্রতি জানিয়েছে যে তারা অস্ত্র সমর্পণ করতে প্রস্তুত — তবে শর্ত সাপেক্ষে। হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হায়া বলেন, সংগঠনটির অস্ত্রভান্ডারের উপর সিদ্ধান্ত সরাসরি সম্পর্কিত থাকবে ইসরাইলি দখলদারিত্ব ও আগ্রাসনের অবসানের ওপর।
টাইমস অফ ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল দুই বছরের যুদ্ধে সমাপ্তি হিসেবে হামাসের নিরস্ত্র হওয়ার দাবি তুলেছে। একইভাবে, যুক্তরাষ্ট্রও তাদের প্রস্তাবিত ২০ দফা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য হামাসকে অস্ত্র ছেড়ে দেয়ার শর্ত দিয়েছে।
খলিল আল-হায়া বলেন, যদি দখলদারিত্ব প্রত্যাহার করা হয়, তবেই এসব অস্ত্র একটি রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে এখানে তিনি কোন রাষ্ট্র বা কোন প্রশাসনিক গঠনকে উদ্দেশ্য করছেন তা এখনই স্পষ্ট নয় — তিনি কোনো নির্দিষ্ট দেশের কথা বলছেন নাকি ভবিষ্যতে গঠিত হবার সম্ভাব্য ফিলিস্তিনি প্রশাসনিক সংস্থার কথা বলছেন তা নিশ্চিত করা যায়নি।
এরই মধ্যে প্রধান ফিলিস্তিনি দলগুলো—হামাসসহ—সন্ধান দেখিয়েছে যে তারা গাজার প্রশাসন অস্থায়ীভাবে পরিচালনার জন্য স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের একটি কমিটির হাতে দায়িত্ব হস্তান্তরে রাজি হতে পারে। ওই যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কায়রোতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দলগুলো গাজার ব্যবস্থাপনা স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের সমন্বয়ে গঠিত অস্থায়ী কমিটির হাতেই তুলে দেওয়ার সম্মতি জানিয়েছে।
এই অস্থায়ী কমিটি আরব ব্রাদারস ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় গাজার বাসিন্দাদের জীবন ও মৌলিক পরিষেবা পরিচালনা করবে—যেগুলো হলো পানি, স্বাস্থ্যসেবা, বিদ্যুৎ ও পুনর্নির্মাণ সংক্রান্ত কাজ।
সংক্ষেপে, হামাসের অস্ত্র ছাড়ার ঘোষণাটি ‘দখল’ সমস্যার সাথে সরাসরি যুক্ত; অর্থাৎ সম্পূর্ণ নজিরবিহীন শান্তি প্রতিষ্ঠার আগে ইসরাইলি দখল উঠে যাওয়া এবং পরবর্তীতে গাজা পরিচালনার একটি গ্রহণযোগ্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা গঠনের প্রয়োজনীয়তাকে দলটি অবধারণে রেখেছে।