রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দু’দিন পর ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। শনিবার (১২ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মুন্না বলেন, “ভিডিওতে যাদের সরাসরি মারধরে অংশ নিতে দেখা গেছে, মামলায় তাদের নাম নেই। উল্টো তিনজনের নাম মামলায় এসেছে যাদের ভিডিওতে দেখা যায়নি।”
তিনি আরও জানান, ভিডিও ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভিত্তিতে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, তাদের আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে যাদের আসল পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তাদের বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে।
“সোহাগ হত্যার দুই দিন পর ভিডিও সামনে এনে জনমত বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এটি স্পষ্টভাবে একটি মহলের পরিকল্পিত অপচেষ্টা,” বলেন যুবদল সভাপতি।
তিনি আরও যোগ করেন, “এভাবে ভিডিও চিত্র ব্যবহারের মাধ্যমে বিএনপিকে জড়ানো এবং রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা হচ্ছে।”
মুন্না বলেন, “যুবদল বা বিএনপি কখনো দায় এড়ায় না। বরং আমরা সবসময় সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচারের পক্ষে। যারা সত্যিকারের অপরাধী, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”
সংবাদ সম্মেলনে মোনায়েম মুন্না অভিযোগ করেন, “একটি পক্ষ পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিরতা তৈরি করে বিএনপির ওপর দোষ চাপাতে চায়।” তিনি আরও বলেন, সারা দেশে যেসব ঘটনায় দলের কেউ জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply