বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটি এখনও পরিচালিত হচ্ছে ম্যানুয়াল সিস্টেমে। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর আইটি বিভাগ বা বিশেষায়িত সাইবার সিকিউরিটি টিম না থাকায়, তথ্য নিরাপত্তা ও ফ্লাইট অপারেশন ব্যবস্থায় ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে অব্যাহতভাবে।
আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন সংস্থা (ICAO) ইতোমধ্যে আধুনিক প্রযুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জোর দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই প্রথমবারের মতো ‘সাইবার সিকিউরিটি সেল’ গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এত গুরুত্বপূর্ণ খাতে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক আগেই গড়ে তোলা উচিত ছিল। তারা সতর্ক করে বলেন—একটি বড় সাইবার হামলায় মুহূর্তেই ফ্লাইট অপারেশন, ব্যাগেজ সিস্টেম, যাত্রী তথ্য ও আন্তর্জাতিক সংযোগ সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়তে পারে।
নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন,
“সিভিল এভিয়েশনের নিজস্ব আইটি সেল নেই, যা অনেক আগেই গঠন করা উচিত ছিল। শুধু আউটসোর্স নয়, নিজেদের সক্ষমতা তৈরি করাও জরুরি।”
সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমডোর মো. আসিফ ইকবাল জানান,
“ইতোমধ্যে একজন আইটি ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখন প্রয়োজন সাইবার সিকিউরিটি সেল, অর্গানোগ্রাম ও পর্যাপ্ত জনবল। সেলের কর্মীরা নিয়মিত নিরাপত্তা ঝুঁকি মনিটর করবে, প্রশিক্ষণ দেবে এবং সক্ষমতা বাড়াবে।”
আইকাও-এর সর্বশেষ অডিট রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে—সিভিল এভিয়েশনের বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে গ্রহণযোগ্য হলেও দ্রুত আধুনিকায়ন প্রয়োজন।
Leave a Reply