জুলাই গণহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণা শুরু হয়েছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায় পড়া শুরু হয়। এ রায় বিটিভি, রয়টার্স এবং ট্রাইব্যুনালের ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঢাকার দশটি পয়েন্টে বড় পর্দায়ও দেখানো হচ্ছে।
রায় ঘোষণার শুরুতে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান জানান, রায়টি মোট ৪৫৩ পৃষ্ঠার এবং এটি প্রস্তুত করতে তাকে কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন ১০-১২ ঘণ্টা কাজ করতে হয়েছে।
শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কী শাস্তি হতে পারে তা নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষ থেকে আন্তর্জাতিক মহল পর্যন্ত তীব্র কৌতূহল তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরিণতিও আজই স্পষ্ট হবে।
এ মামলায় নারী হওয়ায় কোনো ‘অনুকম্পা’ বা ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। তিনি বলেন, “নারী হওয়ার কারণে মৃত্যুদণ্ড এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ শেখ হাসিনার নেই।”
যদি শেখ হাসিনা দণ্ডিত হন, তবে তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের সাজা পরোয়ানা ইন্টারপোলে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন।
এদিকে রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেনা, বিজিবি, পুলিশ ও অন্যান্য ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.