পটুয়াখালীর উপকূলে স্বপ্নের রুপালি ইলিশ ফেরার খবরে এবার মুখে হাসি জেলেদের; তবে বাজারে দাম না হারালে সাধারণ ক্রেতা ভোগান্তি মিতই রয়ে গেল। মহিপুর ও আলিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ জেলা জুড়ে প্রতিদিন শতাধিক ইলিশ বোঝাই ট্রলার এসে হাটের আটপৌড়ে মাছের আড়ত গরম করছে। বঙ্গোপসাগরের তীব্র ঢেউ পেরিয়ে ফিরছে সোনালি ‘রুপালি’, অথচ বাজারদর অবিকলই লেগেছে আকাশছোঁয়া।
বৈরী মৌসুমে দীর্ঘদিন সামুদ্রিক ইলিশ পাওয়া যায়নি—তার কারণেই এ বৃষ্টি জেলেরি সাম্রাজ্যে ফিরে এসেছে স্বস্তির হাসি। “অনেকদিন পরে এবার ভাল মাছ পাইতেছি, বাড়ি ফিরেও বউ-পোলাপান নিয়ে স্বস্তিতে চলতে পারুম,” বললেন অভিজ্ঞ জেলে মো. শাহজাহান।
কিন্তু মাছ কিনতে আসা ক্রেতাদের বক্তব্য ভিন্ন। “মাছ আছে দেখে ভালো লাগছে, কিন্তু ১৫০০–১৬০০ টাকা কেজি দরে সর্বস্তরের ক্রেতার নাগালের বাইরে,” বলেন স্থানীয় কাস্টমার রফিকুল ইসলাম।মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, মাঝারি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০০–১৬০০ টাকা, বড় সাইজের ইলিশের দাম ২১০০–২২০০ টাকা। আড়তদারদের আশা, মাছ সরবরাহ আরও বাড়লে শিগগির দাম সামান্য হলেও কমতে পারে। “মাছ আসছে, বাজারও একটু চাঙা হচ্ছে—কয়েকদিন পরে মাছ পড়ার পরামর্শ, তখন দাম কমতে পারে,” বলেন আড়তদার কাওসার মৃধা।
কী প্রভাব ফেলে বাজার দরে?
সরবরাহ বৃদ্ধি: তাজা ইলিশের মজুদ বাড়লে দাম নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
আবহাওয়ার উর্ধ্বগতি: বর্ষা ও জলোচ্ছ্বাসে মাছ ধরার কার্যক্রম স্থগিত হলে দাম তুঙ্গে ওঠে
ক্রেতার চাহিদা: নিত্যপ্রয়োজনীয় ইলিশ কাটে না কাটে—খেটে খাওয়ার মানুষের ক্রয়ক্ষমতা
উপকূলীয় জেলেদের জন্য স্বস্তির খবর হলেও বাজারের দামে সস্তার ছোঁয়া পেতে ক্রেতাদের আরও অপেক্ষা—সম্ভবত বর্ষার শেষে ইলিশ সরবরাহ চাঙ্গা হলে নতুন দাম সমীকরণ আসতে পারে।
Leave a Reply