যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৈঠক শেষ হলেও শুল্ক হ্রাসে আসেনি কোনো ইতিবাচক ঘোষণা। ৯ জুলাই শুরু হয়ে তিন দিন ধরে চলা এই আলোচনা শেষ হলেও এখনও ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক কমানোর বিষয়ে নিশ্চিত বার্তা পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা এ অবস্থাকে ‘গভীর অনিশ্চয়তা’ হিসেবে দেখছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও পাওয়া যাচ্ছে না কোনও স্পষ্ট দিকনির্দেশনা বা সিদ্ধান্ত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন বাংলাদেশি পণ্যে মোট শুল্ক ৫০%, যার মধ্যে আগে থেকেই ১৫% ছিল, এবং নতুন করে ৩৫% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এই শুল্ক আগস্ট ২০২৫ থেকে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় রপ্তানিকারকদের মাঝে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এ কে এম সাইফুর রহমান, সহ-সভাপতি, গার্মেন্টস বায়িং অ্যাসোসিয়েশন:
“আগস্ট থেকে শুল্ক কার্যকর হলে হঠাৎ করেই রপ্তানিতে ধস নামতে পারে। অনেক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে ক্রয়াদেশ স্থগিত করেছে।”
মাহমুদ হাসান খান বাবু, সভাপতি, বিজিএমইএ:
“প্রথম চিঠিটি ইউএসটিআরের পক্ষ থেকে আশাব্যঞ্জক ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় চিঠি আর প্রকাশ করা হয়নি। যদি ৩৫% শুল্ক আরোপিত হয়, তাহলে রপ্তানিকারকদের পক্ষে তা বহন করা কঠিন হবে।”
যুক্তরাষ্ট্র ছিল বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ পোশাক রপ্তানির বাজার।
গত অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে, কিন্তু নতুন শুল্ক কার্যকর হলে এই বাজার আপাতত থেমে যেতে পারে।
রপ্তানি আদেশ স্থগিত করে দিচ্ছে অনেক বিদেশি ক্রেতা, যার ফলে উদ্যোক্তাদের মধ্যে ভয় ও অনিশ্চয়তা বাড়ছে।
ড. জাহিদ হোসেন, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ:
“এই আলোচনায় আমাদের টিমে এমন বিশেষজ্ঞ থাকা উচিত ছিল, যারা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সরাসরি কাজ করেন বা বাজার গবেষণায় অভিজ্ঞ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের কোনো পরামর্শই নেওয়া হয়নি।”
Leave a Reply