ভারতের রাজনীতি থেকে অপরাধমুক্তির ডাক দিলেও নরেন্দ্র মোদির সরকারেই গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত মন্ত্রীর সংখ্যা উদ্বেগজনক। স্বাধীন গবেষণা সংস্থা এডিআর (অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস)-এর তথ্য অনুযায়ী, বিজেপির ৩৩৬ জন মন্ত্রীর মধ্যে অন্তত ১৩৬ জনের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এদের মধ্যে ৮৮ জনের বিরুদ্ধে খুন, হত্যাচেষ্টা, অপহরণ এবং নারী নির্যাতনের মতো ভয়াবহ অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক সংবিধান সংশোধনী বিল উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে অন্তত ৩০ দিনের জন্য জেলে গেলে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কিংবা অন্য কোনো মন্ত্রীকে পদ ছাড়তে হবে। সরকারের দাবি, এর মাধ্যমে প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করা এবং জনগণের আস্থা বাড়ানোই মূল লক্ষ্য।
তবে প্রশ্ন উঠেছে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা নিয়ে। কারণ শুধু কেন্দ্র নয়, রাজ্য পর্যায়েও একই চিত্র। বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল থেকে শুরু করে আম আদমি পার্টি—সব দলেরই বহু মন্ত্রী মামলার আসামি। সমালোচকরা বলছেন, বাস্তবে অভিযুক্তদের অপসারণে পদক্ষেপ না নিয়ে বিলটিকে হয়তো ভোটের প্রচারণার হাতিয়ার হিসেবেই বেশি ব্যবহার করবে বিজেপি।
Leave a Reply