গাজায় বিতরণকৃত মার্কিন খাদ্য সহায়তায় ‘অক্সিকোডন’ নামের একটি শক্তিশালী ব্যথানাশক ও নিষিদ্ধ মাদক পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ করেছে গাজার সরকার। শুক্রবার এক বিবৃতিতে তারা দাবি করে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল-সমর্থিত কিছু ত্রাণ কেন্দ্রে বিতরণ হওয়া ময়দার বস্তার মধ্যে এই নেশাদ্রব্য পাওয়া গেছে।
গাজা প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, এই ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা নয়, বরং এটি একটি পরিকল্পিত পদক্ষেপ, যা “জনস্বাস্থ্যের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ” বলে বিবেচিত।
গাজার সরকারের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়:
“আমরা ইতোমধ্যে চারজন ব্যক্তির সাক্ষ্য সংগ্রহ করেছি, যারা ত্রাণ হিসেবে পাওয়া ময়দার বস্তার ভেতরে অক্সিকোডন মাদক খুঁজে পেয়েছেন। তাদের মতে, এই মাদকগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে ত্রাণের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছে।”
এই ঘটনাকে গাজা প্রশাসন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ উদাহরণ হিসেবে দেখছে। বিষয়টি এখন তদন্তাধীন বলেও তারা জানিয়েছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক কড়া প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন—
“গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়েই মানুষ মৃত্যুর মুখে পড়ছে। খাবারের জন্য বের হওয়া যেন এখন ফিলিস্তিনিদের কাছে মৃত্যুদণ্ডের সমান।”
তিনি বলেন,
“ইরান-ইসরাইল যুদ্ধের পর যেমন একটি আলোচনার সুযোগ তৈরি হয়েছে, ঠিক তেমনই গাজার ক্ষেত্রেও এখন একটি আশার প্রয়োজন। এই মুহূর্তে আশাটাই সবচেয়ে জরুরি।”
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করছেন, গাজায় চলমান সংঘাত বন্ধ হতে পারে খুব দ্রুতই।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন:
“আমি বিশ্বাস করি, গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি এখন খুব কাছাকাছি। আমি এ বিষয়ক আলোচনায় জড়িত বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি।”
এর আগে গত চার সপ্তাহে, গাজায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোর সামনে সহায়তার জন্য জড়ো হওয়া কমপক্ষে ৫৪৯ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
Leave a Reply