শারদীয় দুর্গোৎসবের আজ মহাসপ্তমী। রাজধানীসহ সারাদেশের পূজামণ্ডপে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে সপ্তমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
গতকাল রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) মহাষষ্ঠীর দিন বেলতলায় চণ্ডীপাঠ, কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পূজার প্রথম পর্ব। এরপর দেবীর আমন্ত্রণ, অধিবাস ও আরতির মধ্য দিয়ে শেষ হয় মহাষষ্ঠীর আনুষ্ঠানিকতা।
আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মহাসপ্তমী থেকেই মূল পূজা শুরু হলো। শাস্ত্রীয় বিধান মেনে প্রতীকী কলাবউকে স্নান করিয়ে ঘট প্রতিস্থাপন করা হয়। এরপর দেবীকে মহাস্নান করানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় সপ্তমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা। স্নান শেষে চক্ষুদানের মাধ্যমে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে দেবীর মূল পূজা শুরু হয়।
ষোলো উপাদানে সম্পন্ন হয় সপ্তমীর পূজা। দিনভর চণ্ডীপাঠ, মন্ত্রোচ্চারণ ও ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলির মাধ্যমে দেবীর চরণে নিবেদন চলে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সপ্তমী তিথি থেকেই জাগ্রত হন দেবী দুর্গা এবং দশহাতে পৃথিবীর সব অমঙ্গল ও অশুভকে দমন করেন।
বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। তিথি অনুযায়ী, আজ থেকেই দেবী দুর্গার শক্তি স্বর্গলোক থেকে নেমে মর্ত্যলোকে অবস্থান করবে এবং দশমীতে সেই শক্তি ফিরে যাবে স্বর্গলোকে। প্রতীকী অর্থে এটিই দেবী দুর্গার আগমন ও গমন।
এবার দেবী দুর্গা মর্ত্যলোকে এসেছেন গজ বা হাতিতে চড়ে। হিন্দুশাস্ত্রে হাতিকে দেবীর উৎকৃষ্টতম বাহন বলা হয়, যা সমৃদ্ধি ও প্রাচুর্যের প্রতীক। বিশ্বাস করা হয়, দেবীর এই আগমন শুভ বার্তা বহন করছে—ভালো বৃষ্টিপাত, অধিক ফসল এবং দেশের সামগ্রিক সুখ ও শান্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
Leave a Reply