চলতি মৌসুমে ভোলায় প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে উৎপাদিত হয়েছে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন সুপারি—যার বাজারমূল্য প্রায় দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা। তবুও লাভজনক এই খাতে সরকারি সহযোগিতা নেই বলেই অভিযোগ বাগান মালিক ও চাষিদের। তারা জানান, হেক্টরপ্রতি ৭ থেকে ৮ মেট্রিক টন কাঁচা সুপারি ফলন হয়, শুকানোর পর যা দাঁড়ায় প্রায় ৫ মেট্রিক টন। তবুও কৃষি বিভাগ এখনো কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা নেয়নি এই খাতে।
ভোলায় দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত প্রবাদ—“ধান, সুপারি, ইলিশের ঘোলা—এ তিনে ভোলা।” কিন্তু ধান ও ইলিশ নিয়ে সরকারের উদ্যোগ থাকলেও সুপারি থেকে মুখ ফিরিয়ে আছে কর্তৃপক্ষ। অথচ স্থানীয় কৃষকেরা জানান, সুপারি চাষ অন্য যেকোনো ফসলের তুলনায় লাভজনক; একবার গাছ লাগালে ৩০ থেকে ৪০ বছর ফলন পাওয়া যায়। প্রতি ‘ভি’ সুপারি মাঠ পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫৩০ টাকায়।
চাষিরা আরও জানান, সুপারি শুধু অর্থনৈতিক নয়, পরিবেশগতভাবেও গুরুত্বপূর্ণ—এ গাছ উপকূলীয় ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করে। শ্রমিকরাও এ খাত থেকে মৌসুমি ভালো আয় করছেন। তবে এত বড় উৎপাদন ও বাজারমূল্য থাকা সত্ত্বেও কৃষি বিভাগ শুধু ‘কাগজে কলমে হিসাব রাখে’, কোনো বাস্তব সহায়তা দেয় না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. খায়রুল ইসলাম মল্লিক বলেন, “ভোলার সুপারি দেশের সেরা মানের। আমরা আর্থিক সহায়তা দিতে না পারলেও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছি।”