ভরা মৌসুম হলেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মিলছে না বরিশালে। ফলে ব্যবসায়ীরা যেমন রফতানিতে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন, তেমনি সাধারণ ক্রেতারা পড়েছেন আকাশছোঁয়া দামের চাপে।
বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ীরা জানান, আগে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার মণ ইলিশ আসত মোকামে। এখন দিনে ৩০ থেকে ৪০ মণও মিলছে না। সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
এবার দুর্গাপূজায় ভারতে এক হাজার ২০০ টন ইলিশ রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। ইতোমধ্যে বরিশালের চারটি প্রতিষ্ঠান রফতানির অনুমতি পেলেও সরবরাহ সংকটে ব্যবসায়ীরা হিমশিম খাচ্ছেন। গত বছরের তুলনায় রফতানিও কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। গত বছর রফতানি শুরুর ৬ দিনে প্রায় দেড়শ মণ ইলিশ ভারতে গেলেও এ বছর একই সময়ে গেছে মাত্র ৮০ মণ।
আড়তদাররা জানান,
৫০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ৬৪ হাজার টাকা,
৯০০ গ্রামের ইলিশ ৮০ হাজার টাকা,
এক কেজি ইলিশ ৯২ হাজার টাকা,
১,২০০ গ্রামের ইলিশের দাম ছাড়িয়েছে ৯৭ হাজার টাকা।
ছোট সাইজের ইলিশের দামেও ব্যাপক ওঠানামা দেখা যাচ্ছে।
এক ক্রেতা আল আমিন হাওলাদার বলেন, “আমরা নিম্নআয়ের মানুষ বাজারে মাছ কিনতে এসে দাম শুনেই ফিরে যাই। কেনার সামর্থ্য থাকে না। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো একদিন ইলিশ একেবারেই হারিয়ে যাবে।”
বরিশাল পোর্ট রোড মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি কামাল সিকদার বলেন, “গত বছর বরিশাল থেকে ২৪ টন ইলিশ রফতানি হয়েছিল ভারতে। কিন্তু এবার বেশি দাম দিয়েও পর্যাপ্ত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না।”
বরিশাল মৎস্য অধিদফতরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম আকন্দ জানান, নদীতে ইলিশের আগমন এখন বড় চ্যালেঞ্জের মুখে। তবে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply