যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ব্রিকস জোটভুক্ত দেশগুলোর ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে তার প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) হোয়াইট হাউসে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে তিনি বলেন, “ব্রিকস গঠিত হয়েছে ডলারের মানদণ্ডকে চ্যালেঞ্জ জানাতে, আর আমরাও প্রস্তুত প্রতিক্রিয়া জানাতে।”
ট্রাম্পের ভাষায়,
“ব্রিকসের কোনো সদস্য দেশ হলেই তাদের ১০% ট্যারিফ দিতে হবে। কারণ এই জোট আমাদের ক্ষতি করার জন্য গঠিত। তারা যদি খেলতে চায়, আমিও খেলবো।”
তিনি আরও বলেন, ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে এই শুল্ক কার্যকর হবে, এবং এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে বার্তা পাঠানো শুরু হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন,
“ব্রিকস আসলে ডলারকে দুর্বল করতে এবং কোনো বিকল্প আন্তর্জাতিক মুদ্রা প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করছে। তারা এতে সফল হবে না। ডলারই থাকবে বৈশ্বিক মানদণ্ড।”
তিনি দাবি করেন, ব্রিকস ইতিমধ্যেই ভেঙে পড়েছে, কিছু দেশ এখন শুধু ‘ভাসমান সদস্য’ হিসেবে টিকে আছে।
একই দিনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও ঘোষণা দেন:
কপার আমদানিতে ৫০% শুল্ক বসানো হবে
ওষুধ আমদানিতে সর্বোচ্চ ২০০% পর্যন্ত শুল্ক নির্ধারণের পরিকল্পনা রয়েছে
সেমিকন্ডাক্টর খাতেও নতুন শুল্কনীতি আনতে চায় হোয়াইট হাউস
ট্রাম্প বলেন, “ঘরোয়া উৎপাদন বাড়াতে শুল্কই একমাত্র কার্যকর অস্ত্র।”
ঘোষণার পরই নিউইয়র্ক স্টকে কপার ফিউচারসের দাম ১০% বেড়ে যায়।
ট্রাম্প দাবি করেন,
“চলতি বছরেই আমরা শুল্ক থেকে ১০ হাজার কোটি ডলার আয় করেছি, ২০২৫ সালের মধ্যে তা পৌঁছাবে ৩০ হাজার কোটি ডলারে।”
আলোচনার এক পর্যায়ে ট্রাম্প জানান,
“চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এখন অনেক ভালো। তারা বাণিজ্য চুক্তিতে ন্যায্য আচরণ করছে।”
বিশ্লেষণ:ব্রিকস শুল্ক
ব্রিকস জোট এবং ডলারবিরোধী প্রচেষ্টার পটভূমিতে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত নতুন এক বাণিজ্যযুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই নীতির প্রভাব শুধু আমদানি-রপ্তানি নয়, বিশ্ব অর্থনৈতিক ভারসাম্য এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্কেও গভীর ছাপ ফেলবে
Leave a Reply