ফুটবল বিশ্বে তেমন পরিচিত নাম নয় আফ্রিকার ছোট দ্বীপরাষ্ট্র কেপ ভার্দে। কিন্তু এবার ইতিহাসের দোরগোড়ায় তারা— প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে দেশটি। মাত্র ৫ লাখ ২৪ হাজার জনসংখ্যার এই দেশটি হয়ে উঠতে পারে বিশ্বকাপে খেলা দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ, আইসল্যান্ডের পর।
এই কেপ ভার্দেই রয়েছে পর্তুগালের মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পূর্বপুরুষের শেকড়। রোনালদোর বাবা জোসে দিনিস অ্যাভেইরোর দাদি ইসাবেল দা পিয়েদাদে এসেছিলেন কেপ ভার্দে থেকে। শুধু রোনালদো নন, পর্তুগালের আরেক তারকা ন্যানির পরিবারও এই দ্বীপ থেকেই পর্তুগালে পাড়ি জমিয়েছিল।
আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে রোনালদো হয়তো নিজের পূর্বপুরুষের দেশ কেপ ভার্দের বিপক্ষেই মাঠে নামতে পারেন। এবারের আসরে প্রথমবারের মতো ৪৮ দল অংশ নিচ্ছে, যার ফলে আফ্রিকা অঞ্চল থেকে ৯টি দেশ সরাসরি খেলবে।
এই মুহূর্তে আফ্রিকার গ্রুপ ডি’তে শীর্ষে কেপ ভার্দে, ৯ ম্যাচে ৬ জয় ও ২ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ২০। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ক্যামেরুনের পয়েন্ট ১৮। শেষ ম্যাচে এসওয়াতিনির বিপক্ষে জয় পেলেই ইতিহাস গড়বে কেপ ভার্দে।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৭০ নম্বরে থাকা কেপ ভার্দে ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সে খেলেছিল। এরপর থেকে বিদেশে বেড়ে ওঠা ডায়াসপোরা ফুটবলারদের নিয়ে শক্তিশালী দল গঠন করেছে তারা। এখন বিশ্বকাপের টিকিট তাদের নাগালের মধ্যেই।
যদি কেপ ভার্দে শেষ ম্যাচে জিতে যায়, তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে তাদের দেখা যাবে— রোনালদোর পূর্বপুরুষের দেশের এক রূপকথার যাত্রা হিসেবে।