বিবিসির ক্ষমা প্রার্থনার পরও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ‘প্যানোরামা’ তথ্যচিত্রে তার ৬ জানুয়ারির ভাষণ ভুলভাবে সম্পাদনা করে সহিংসতার ইঙ্গিত তৈরি করা হয়েছিল বলে ট্রাম্পের অভিযোগ। প্রতিষ্ঠানটি ভুল স্বীকার করলেও ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় ট্রাম্প ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন—
“সম্ভবত আগামী সপ্তাহে আমরা বিবিসির বিরুদ্ধে এক থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের মামলা করবো।”
ট্রাম্প অভিযোগ করেন—বিবিসি তার ভাষণের ধারাবাহিকতা বদলে দিয়েছে এবং এমনভাবে পাশাপাশি সাজিয়েছে, যাতে দেখা যায় তিনি সরাসরি সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মারের সঙ্গে এখনো কথা বলেননি, তবে ফোন করার পরিকল্পনা আছে।
যদিও শুক্রবার রাত পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আদালতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের রেকর্ড পাওয়া যায়নি।
এক অন্য সাক্ষাৎকারে—যা আগেই রেকর্ড হয়েছিল—ট্রাম্প বলেন, বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করা তার দায়িত্ব, “কারণ এই ধরনের ঘটনা অন্যদের সঙ্গেও ঘটতেই থাকবে।”
ট্রাম্প ২০২১ সালের ভাষণে প্রথমে বলেনঃ
“আমরা ক্যাপিটলের দিকে হেঁটে যাব, আমাদের সাহসী সেনেটর ও কংগ্রেস সদস্যদের উৎসাহ দেব।”
ভাষণের প্রায় ৫০ মিনিট পর আরেক অংশে তিনি বলেনঃ
“আমরা লড়ব। প্রাণপণ লড়াই করব।”
কিন্তু বিবিসির প্যানোরামা দুই অংশকে পাশাপাশি দেখায় এমনভাবে—
“আমরা ক্যাপিটলের দিকে হেঁটে যাব… আর আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব। এবং আমরা লড়ব। প্রাণপণ লড়াই করব।”
এই সংযুক্ত সম্পাদনাই মূল বিতর্কের জন্ম দেয়।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বিবিসির ‘সংশোধন ও স্পষ্টীকরণ’ নোটে স্বীকার করা হয়—সম্পাদনা বিভ্রান্তিকর ছিল এবং ভাষণের ধারাবাহিকতা ছিল না। বিতর্কের জেরে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বার্তা প্রধান ডেবোরাহ টার্নেস পদত্যাগ করেন।
এছাড়া বিবিসি জানায়—তাদের আইনজীবীরা এখন ট্রাম্পের আইনজীবীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগে রয়েছেন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.