চলতি মাসের প্রথম ১৪ দিনে বাংলাদেশের বাজারে ছয় দফায় স্বর্ণের দাম বেড়েছে এবং প্রতিবারই পূর্বের রেকর্ড ভেঙেছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) দাবি করছে, বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে না গেলে চোরাচালান বেড়ে যেতে পারে। তাই দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করছে, বাজুস তুলনামূলকভাবে দাম বেশি বাড়াচ্ছে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপের সুযোগ আছে।
চলতি মাসের প্রথম ১৪ দিনে এক ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম বেড়েছে ২০,৯৪৮ টাকা, যা এখন দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৬,৩৩২ টাকায়। এক মাসে বেড়েছে প্রায় ২৭ হাজার টাকা, আর বছরে বেড়েছে ৭৬ হাজার টাকার বেশি। দাম বৃদ্ধির ফলে বিক্রি কমলেও ক্রেতারা স্বর্ণকে নিরাপদ বিনিয়োগ এবং বিদেশি রিজার্ভ সঞ্চয়ের মাধ্যম হিসেবে দেখছেন।
বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, দাম বাড়ায় বেচাকেনা কমে গেছে। আগে যেখানে পাঁচ ভরি বিক্রি হতো, এখন তা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে লাভের পরিমাণও তেমন বাড়ছে না। বাজুসের মুখপাত্র আনোয়ার হোসেন বলেন, “স্বর্ণ পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় এক্সচেঞ্জ করা যায়। ভারতের সঙ্গে আমাদের সহজ যোগাযোগ আছে। যদি দাম না বাড়ে বা কমে, তবে স্বর্ণ চলে যেতে পারে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তুলনা করলে দেশের স্বর্ণের দাম কিছুটা বেশি, তবে দাম বাড়ার ফলে দেশের রিজার্ভ শক্তিশালী হচ্ছে।
দামের উর্ধ্বমুখী প্রবণতার পেছনে রয়েছে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার কমানোর ইঙ্গিত, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা, যার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম এক মাসে বেড়েছে প্রায় ৬৫০ ডলার।