হামাসের কাছে এখনো আটক ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবারগুলো অভিযোগ করেছে, প্রিয়জনদের মুক্তির প্রধান বাধা হচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে বন্দিদের পরিবারের ফোরাম জানায়,
“ইসরায়েলের কাতারে হামলা প্রমাণ করেছে—প্রতিবার যখন শান্তি চুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়, নেতানিয়াহুই তা নস্যাৎ করে দেন।”
গত সপ্তাহে ইসরায়েল দোহায় বিমান হামলা চালায়, যাতে হামাসের পাঁচ নেতা ও একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন।
এরপর নেতানিয়াহু দাবি করেন, “কাতারে হামাস নেতাদের ধ্বংস করলে বন্দিদের মুক্তি ও যুদ্ধের সমাপ্তির পথে প্রধান বাধা দূর হবে।”
তবে বন্দিদের পরিবারগুলো এটিকে “প্রিয়জনদের ফেরাতে ব্যর্থতার অজুহাত” বলে আখ্যা দিয়েছে। তাদের মতে, নেতানিয়াহুর স্থবির নীতি ইতোমধ্যে ৪২ বন্দির প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এবং বাকি বন্দিদের জীবনও ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিও শনিবার ইসরায়েল সফর করেন এবং নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। সফরের আগে তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারে হামলা নিয়ে সন্তুষ্ট নন, তবে “মার্কিন-ইসরায়েল সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়”।
রুবিও বলেন, “আমাদের অগ্রাধিকার হলো সব বন্দিকে ফিরিয়ে আনা এবং গাজার যুদ্ধের ইতি টানা।”
কাতার ইসরায়েলের হামলাকে “কুৎসিত” এবং “আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন” হিসেবে নিন্দা করেছে। দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ মিত্র এবং এখানে একটি বড় মার্কিন বিমান ঘাঁটি রয়েছে।
নেতানিয়াহু হামলাকে ন্যায়সঙ্গত বলে দাবি করেছেন। তার ভাষায়, “এটি ৭ অক্টোবরের হামলার পরিকল্পনাকারী সিনিয়র হামাস নেতাদের লক্ষ্য করেছিল।”
Leave a Reply