বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে এবং তা আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি আশঙ্কা নেই। এর বদলে, সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলে অতিভারি বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ বৃহস্পতিবার সকালে সময় সংবাদকে বলেন,
“নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে না বলেই আমরা ধারণা করছি, তবে এর প্রভাবে সমগ্র দেশে বৃষ্টিপাত চলছে এবং শুক্রবার পর্যন্ত ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।”
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার (৩১ মে) থেকে আকাশে ধীরে ধীরে উন্নতি দেখা দিতে পারে। তবে তার আগে শুক্রবার (৩০ মে) পর্যন্ত বেশ কিছু অঞ্চলে ভারি বর্ষণের কারণে জলাবদ্ধতা, পাহাড়ধস এবং নৌ চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় পাহাড়ধসের সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।
নিম্নচাপের কারণে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। চারটি সমুদ্র বন্দর — চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা —-কে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি নৌবন্দরগুলোকে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাগরে না যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে,
আজ ভোর ৬টায় নিম্নচাপটি:
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার
কক্সবাজার থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার
মোংলা থেকে ২৩০ কিলোমিটার
পায়রা বন্দর থেকে ২৪৫ কিলোমিটার
দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতি ঘণ্টায় ৪০ কিমি পর্যন্ত এবং দমকা হাওয়ার আকারে তা ৫০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব এলাকার সাগর উত্তাল ও বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে।
Leave a Reply