1. arshinagargroup75@gmail.com : ratul :
  2. abclimited2020@gmail.com : Eng. Firoz-Uz Zaman (MD) : Eng. Firoz-Uz Zaman (MD)
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন

প্রার্থী না দেওয়া ৬৩ আসন নিয়ে কৌশলী বিএনপি: শরিকদের জন্য আসন ছাড়ার প্রস্তুতি

নিউজডেস্ক
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৯ Time View

আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরেই তফসিল ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে। এরই মধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। বড় দুই দলসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দল এখন প্রার্থী বাছাই, জোট গঠন ও আসন সমঝোতা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে।

এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সম্প্রতি ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। তবে ৬৩টি আসন ফাঁকা রেখেছে শরিক দলগুলোর জন্য। দলটি জানিয়েছে, যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।

গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান,

“যেসব আসনে শরিক দলগুলো প্রার্থী দিতে আগ্রহী, সেখানে বিএনপি আপাতত কোনো প্রার্থী দেয়নি। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে।”

ফাঁকা রাখা আসনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬: গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকীর জন্য

  • বগুড়া-২: নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার জন্য

  • ঢাকা-১২: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের জন্য

এ ছাড়া গণ অধিকার পরিষদ, গণফোরাম, এলডিপি, এনডিএমসহ একাধিক শরিক দলের জন্যও আসন ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন,

“যুগপৎ আন্দোলনে যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই সমন্বয় করা হবে। তফসিল ঘোষণার আগেই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।”

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন,

“আমরা ১০-১১টি আসন নিয়ে আলোচনা করছি। বিএনপির আন্তরিকতা রয়েছে বলে মনে করি। দু’এক সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত সমঝোতা হবে।”

গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকী বলেন,

“আমরা কিছু আসনে প্রস্তাব রাখব, যেখানে আমাদের উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ। কিছু জায়গায় উন্মুক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাও হতে পারে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির এ প্রার্থী তালিকা “দূরদর্শী ও ভারসাম্যপূর্ণ”।
অধ্যাপক ড. মো. ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন,

“তরুণ ও প্রবীণদের সমন্বয়ে গঠিত এই তালিকা প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক চিন্তার প্রতিফলন।”

অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ মন্তব্য করেন,

“দলটি অভিজ্ঞতা, তরুণ নেতৃত্ব ও আর্থিক সক্ষমতার সমন্বয় করেছে। এবার ব্যবসায়ী প্রার্থীর সংখ্যা কম, যা ইতিবাচক ইঙ্গিত।”

বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির জন্য এবারের নির্বাচন “চ্যালেঞ্জিং কিন্তু সম্ভাবনাময়”।
তারা বলছেন, মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী এবং তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করাই হবে মূল চাবিকাঠি।

ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন,

“তরুণ ভোটারদের মানসিক পরিবর্তন ঘটেছে। তাদের আকর্ষণ করতে নতুন ধারার কর্মসূচি দরকার।”

ড. সাব্বির আহমেদ বলেন,

“দলটি এখন আগের তুলনায় নীতি ও কৌশলে লিবারেল। এর ইতিবাচক প্রভাব নির্বাচনে দেখা যাবে।”

Please Share This Post in Your Social Media

Comments are closed.

More News Of This Category
© All rights reserved © arshinagar tv 2025
Design & Develop BY Coder Boss