মিয়ানমারের কারাবন্দি নেত্রী অং সান সুচির অনুগত পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, জান্তা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রতিরোধ বাহিনী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। সংগঠনটি জানিয়েছে, সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা ও জনগণকে রক্ষা করাই তাদের অগ্রাধিকার।
চলতি সপ্তাহে (৩ সেপ্টেম্বর) ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ স্পেশাল মিলিটারি রিজিয়ন কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়, নির্বাচনের অজুহাতে সামরিক অভিযান চালানো হলে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। বর্তমানে এই কমান্ডের অধীনে কৌশলগত ইউনিট, ব্যাটালিয়ন, ড্রোন ফোর্স ও পিপলস ডিফেন্স অর্গানাইজেশন (পিডিও) সক্রিয় রয়েছে, বিশেষ করে কারেন ও মোন অঙ্গরাজ্যে।
এছাড়া স্পেশাল মিলিটারি রিজিয়ন কমান্ড কেএনইউ, কেএনএলএসহ স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সমন্বয় করে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে। এরই মধ্যে বাগো ও ইয়াঙ্গুন অঞ্চলেও প্রতিরোধ বাহিনী সক্রিয়ভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচিকে আটক করে। এর পর থেকে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে, যা চার বছর ধরে অব্যাহত রয়েছে। জান্তা সরকার বারবার নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দিলেও চলতি বছরের জুলাইয়ে জরুরি অবস্থা তুলে নিয়ে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেয়। সামরিক নেতা মিন অং হ্লাইং জানিয়েছেন, ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তবে এরই মধ্যে জান্তা বাহিনী হারানো ভূখণ্ড ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি সাগাইং অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে গ্রাম জ্বালিয়ে দেয় তারা, ধ্বংস হয় বহু ঘরবাড়ি, পালাতে বাধ্য হন হাজারো মানুষ। অপরদিকে কিয়াওক্কি এলাকায় প্রতিরোধ বাহিনীর হামলায় বেশ কয়েকজন জান্তা সেনা নিহত হয়েছেন।
Leave a Reply