মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেন ইস্যুতে পরোক্ষ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, মস্কোর পরবর্তী পদক্ষেপ যদি যুক্তরাষ্ট্রকে অসন্তুষ্ট করে, তবে “ঘটনাগুলো ঘটতে দেখবেন” বিশ্ব।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, শিগগিরই পুতিনের সঙ্গে কথা হবে তার। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট এরই মধ্যে জানেন ওয়াশিংটনের অবস্থান। ট্রাম্পের ভাষায়, “আমি কোনো বার্তা দিতে চাই না। তিনি জানেন আমি কোথায় দাঁড়িয়ে আছি। সিদ্ধান্ত নেবেন তিনিই। যদি আমাদের ভালো লাগে, ভালো। আর যদি না লাগে, তবে কিছু না কিছু ঘটবেই।”
এদিকে চীনের সফর শেষে পুতিন জানান, তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে মস্কোতে বৈঠকে রাজি আছেন। তবে এর কোনো বাস্তবিক সুফল হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। রুশ প্রেসিডেন্ট আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “চুক্তি না হলে লক্ষ্য পূরণ করা হবে সামরিকভাবেই।”
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা বলেন, অন্তত সাতটি দেশ দুই নেতার বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু পুতিন ইচ্ছাকৃতভাবে “অগ্রহণযোগ্য প্রস্তাব” দিয়ে সময় নষ্ট করছেন। তার মতে, রাশিয়াকে সিরিয়াস আলোচনায় আনতে “বর্ধিত চাপই একমাত্র পথ।”
অন্যদিকে জেলেনস্কি আশা প্রকাশ করেছেন, বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা চাপানোর বিষয়টি এগিয়ে নেবেন। তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পোস্ট-কনফ্লিক্ট নিরাপত্তা নিশ্চয়তার আশ্বাস পেয়েছেন তারা।
ইতোমধ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘোষণা দিয়েছেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে প্রস্তুত এবং বৃহস্পতিবার “coalition of the willing” এই প্রতিশ্রুতি আনুষ্ঠানিকভাবে দেবে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের উদ্যোগ মূলত পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি বৈঠক আয়োজনের দিকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার জেলেনস্কি প্রথমে ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে বৈঠক করবেন, এরপর ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলবেন। তারপর ট্রাম্প কথা বলবেন পুতিনের সঙ্গে।
তবে শান্তিচুক্তির পথ এখনও জটিল। রাশিয়া ২০২২ সালে দখল করা চারটি অঞ্চল ছাড়তে নারাজ, অন্যদিকে কিয়েভ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—এক ইঞ্চি ভূখণ্ডও ছাড়বে না।
Leave a Reply