প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন স্পষ্ট করেছেন যে সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতি আরপিওতে (গণপ্রতিনিধিত্ব আইন) অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই প্রচলিত আইনের ভিত্তিতেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অগ্রগতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি এ কথা জানান।
তিনি বলেন,
“আমাদের আরপিওতে যা আছে সেই পদ্ধতিতেই ভোট হবে। পিআর তো আরপিওতে নেই। আইন না বদলালে আমি পারব না। আমার সামনে আরপিও আছে, আরপিও নিয়েই এগোতে হচ্ছে।”
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, একটি নির্দিষ্ট দলকে কেন শাপলা প্রতীক দেয়া হয়নি—এর ব্যাখ্যা কমিশন দেবে না। এটি কমিশনের স্বাধীন সিদ্ধান্ত। তিনি জোর দিয়ে বলেন,
“ইসি কারও কথায় চলে না, নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে চায়।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় পৌঁছাবে এবং কমিশন সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন নৌকা প্রতীক স্থগিত রেখে ১১৫টি প্রতীকের তালিকা প্রকাশ করেছে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার, ১৯৭২ অনুযায়ী এই সংশোধনী আনা হয়েছে। তালিকায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীক পুনর্বহাল করা হলেও শাপলা প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
সিইসি বলেন, নাগরিক ঐক্যসহ অন্যরাও শাপলা প্রতীক চেয়েছিল, কিন্তু কমিশন কারও চাপ বা চিঠির ভিত্তিতে প্রতীক দেয় না। এ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তির সুযোগ নেই।
প্রবাসী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কমিশন আশাবাদী বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য যা যা প্রয়োজন তার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। তার ভাষায়,
“ঐতিহাসিক নির্বাচন করতে চায় কমিশন।”
এনসিপির শাপলা প্রতীক না দেয়ার হুঁশিয়ারিকে কমিশন হুমকি হিসেবে দেখছে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
Leave a Reply