চলতি শতাব্দীর প্রথম দশকে পাকিস্তানের ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দেশটির পরমাণু অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফ— এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা জন কিরিয়াকু। ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বিপুল অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে মোশাররফ এই ক্ষমতা ওয়াশিংটনকে দিয়ে রেখেছিলেন।
জন কিরিয়াকু বলেন, “২০০১ সালের পর পাকিস্তানে মার্কিন প্রভাব এতটাই বেড়ে যায় যে, সেটি অনেকটা মোশাররফকে অর্থের বিনিময়ে কিনে নেওয়ার মতো ছিল। আমি দায়িত্বে থাকাকালীন বিপুল ডলার সহায়তা দেওয়া হয়েছিল, তবে সেই অর্থ কীভাবে ব্যয় হতো কেউ জানতো না। বাস্তবে যুক্তরাষ্ট্র মোশাররফকে কিনে নিয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা মোশাররফের সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাৎ করতাম। তাকে প্রচুর অর্থ দেওয়া হতো। তার আশঙ্কা ছিল, এসব পরমাণু অস্ত্র হয়তো জঙ্গিদের হাতে চলে যেতে পারে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে অস্ত্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ দিয়ে রাখেন তিনি।”
সিআইএ’র সন্ত্রাসবিরোধী অপারেশন বিভাগের সাবেক প্রধান কিরিয়াকু সাক্ষাৎকারে আরও জানান, আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন নারী সেজে আফগানিস্তানের তোরাবোরা পাহাড় থেকে পাকিস্তানে পালিয়ে আসেন। মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডে কর্মরত এক অনুবাদক ছিলেন আল কায়েদার গুপ্তচর, যিনি মার্কিন সেনাদের তথ্য জঙ্গিদের কাছে পাচার করতেন। সেই অনুবাদকই লাদেনকে পালাতে সাহায্য করেন।
এছাড়া কিরিয়াকু বলেন, “সৌদি আরবের নির্দেশে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের জনক আব্দুল কাদের খানকে হত্যা করা হয়নি।”