নেপালে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পর উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটির পরিস্থিতি। সহিংসতা দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী, মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান। এ অবস্থায় নেপালের চলমান সহিংস বিক্ষোভে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাস্তায় টহল শুরু করে। গাড়ি ও পথচারীদের তল্লাশি চালানো হচ্ছে, ভাঙচুর ও লুটপাটে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। নাগরিকদের বাড়িতে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছে সেনাবাহিনী।
দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন বন্ধ করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের সবার দায়িত্ব কঠিন পরিস্থিতিকে সহজ করা এবং জাতীয় ঐতিহ্য, কূটনৈতিক মিশন, ব্যক্তিগত সম্পত্তি ও জননিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখা।”
এরই মধ্যে সহিংসতায় পুড়ে গেছে নেপালের সুপ্রিম কোর্ট, পার্লামেন্ট ভবন এবং একাধিক মন্ত্রী-এমপির বাসভবন। আগুনে দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঝলানাথ খানালের স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকার। এর আগে ক্ষুব্ধ জনতা প্রধানমন্ত্রী ওলির বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করে।
স্থানীয় গণমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার মাহোত্তারির জ্বলেশ্বর কারাগার ভেঙে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় কয়েক হাজার আসামি পালিয়ে যায়। পুলিশের চেয়ে বিক্ষোভকারীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিছুই করতে পারেনি।
পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেপালের জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, প্রতিবেশী দেশের স্থিতিশীলতা, শান্তি ও সমৃদ্ধি ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Leave a Reply