মানবতা বনাম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা— ভবিষ্যৎ বিশ্বের এই সংঘাত নিয়েই ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে হলিউডের বহুল প্রতীক্ষিত সাই-ফাই সিনেমা ‘ট্রন: অ্যারেস’। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ছুটির দিনে ছবিটি মুক্তি পেতেই প্রেক্ষাগৃহে ভিড় জমিয়েছে সিনেমাপ্রেমীরা।
সিনেমার গল্পে দেখানো হয়েছে প্রযুক্তি ও মানবতার সহাবস্থানের এক নৈতিক দ্বন্দ্ব— যেখানে এআই সত্তা ‘অ্যারেস’-কে ভার্চুয়াল জগত গ্রিড থেকে পাঠানো হয় বাস্তব জগতে। মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতেই তার আগমন, কিন্তু বাস্তবতায় এসে সে বুঝতে পারে মানুষ তাকে ভয় পায় এবং ধ্বংস করতে চায়। তখন শুরু হয় এক দার্শনিক লড়াই— মানবতার পক্ষে থাকবে নাকি নিজের জাতির স্বাধীনতার জন্য লড়বে?
জোয়াকিম রনিং পরিচালিত এ সিনেমাটি জনপ্রিয় ‘ট্রন’ সিরিজের তৃতীয় কিস্তি এবং ২০১০ সালের ‘ট্রন: লিগ্যাসি’–এর সিক্যুয়েল। এতে অস্কারজয়ী অভিনেতা জ্যারেড লেটো অভিনয় করেছেন অ্যারেস চরিত্রে, তার সঙ্গে রয়েছেন গ্রেটা লি, ইভান পিটার্স, জোডি টার্নার-স্মিথসহ আরও অনেকে।
ভিজ্যুয়াল এফেক্ট, সাউন্ড ডিজাইন ও কাহিনি বিন্যাসের নিখুঁত সংমিশ্রণে ‘ট্রন: অ্যারেস’ ইতিমধ্যেই বছরের অন্যতম কৌতূহলজাগানিয়া হলিউড চলচ্চিত্রে পরিণত হয়েছে।