বাংলাদেশ দলের নির্বাচকরা এখন এক মধুর সমস্যায় পড়েছেন—একাদশে জায়গা করে দেবেন কাকে? দুইজনই মেহেদী। দুজনই অলরাউন্ডার, দুজনই ডানহাতি অফস্পিনার, ব্যাটিং করেন মিডল-অর্ডারে। একজন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ, আরেকজন টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত সদস্য শেখ মেহেদী হাসান। কিন্তু মূল পার্থক্য হলো, মিরাজ ব্যাটিং অলরাউন্ডার আর শেখ মেহেদী মূলত বোলিং অলরাউন্ডার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন মিরাজ, কিন্তু পারফর্ম করতে পারেননি।
মিরাজ চলতি বছর চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে করেছেন মাত্র ৫৪ রান, যার মধ্যে এক ইনিংসেই রয়েছে ২৯ রান। স্ট্রাইকরেটও ছিল কম, আর বাউন্ডারি মাত্র ছয়টি। বল হাতে ১৪ ওভারে দিয়েছেন ১১৪ রান, নিয়েছেন মাত্র চার উইকেট। বিপরীতে, শেখ মেহেদী খেলেছেন ৫৮ টি-টোয়েন্টি, ব্যাট হাতে করেছেন ৩৬৮ রান, বল হাতে নিয়েছেন ৫৩ উইকেট।
সাম্প্রতিক সিরিজের পারফরম্যান্সও শেখ মেহেদীর পক্ষে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়ে মাত্র ১১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন তিনিই। এই পারফরম্যান্সই নির্বাচকদের জন্য সিদ্ধান্তকে কঠিন করে তুলেছে।
পাকিস্তান সিরিজ সামনে রেখে সাংবাদিকদের প্রশ্নে অধিনায়ক লিটন দাস বলেছেন, টিম কম্বিনেশন বুঝেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শেখ মেহেদীকে নিয়ে তার মন্তব্য, ‘ও অনেক আগেই নিজেকে প্রমাণ করেছে, এখন আর কিছু প্রমাণ করার নেই।’
লিটন আরও জানিয়েছেন, পাকিস্তান সিরিজেও শ্রীলঙ্কা সিরিজের স্কোয়াডই থাকবে। খেলোয়াড়দের রোটেশন এবং কন্ডিশন বুঝেই একাদশ গঠন করবেন টিম ম্যানেজমেন্ট। তার ভাষায়, “আমাদের বেঞ্চ শক্তিশালী। যে কাউকে খেলানো সম্ভব। নির্দিষ্ট ম্যাচে কাকে খেলানো হবে, সেটা পরিস্থিতি ও পরিকল্পনার ওপর নির্ভর করবে।”
Leave a Reply