আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৪ আসনের ভোটের মাঠ এখন জমজমাট। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু—দুই তরুণ প্রার্থী, যাদের পারিবারিক ইতিহাস জড়িয়ে আছে গুমের বেদনার গল্পে।
একদিকে গুম হওয়া বিএনপি নেতা সুমনের বোন সানজিদা ইসলাম তুলি, অন্যদিকে গুমের শিকার ব্যারিস্টার আরমানের নাম এসেছে জামায়াতের প্রার্থী তালিকায়।
মিরপুর, গাবতলী থেকে সাভারের কাউন্দিয়া ও বনগাঁও পর্যন্ত বিস্তৃত ঢাকা-১৪ আসনে দুই তরুণ প্রার্থী ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন গণসংযোগ ও ভোটার টানার প্রচার।
বিএনপির নারী প্রার্থী সানজিদা ইসলাম তুলি প্রথমবারের মতো রাজনীতির মাঠে নেমেছেন ভাইয়ের স্মৃতি বুকে নিয়ে। তিনি বলেন—
“বাংলাদেশে যে অপরাজনীতির চর্চা ছিল, সেই অধ্যায় শেষ করতে চাই। আমরা মানবিক ও দায়িত্বশীল রাজনীতির পথে হাঁটতে চাই, যেখানে প্রতিহিংসার স্থান থাকবে না।”
অন্যদিকে জামায়াতের তরুণ প্রার্থী ব্যারিস্টার আরমান বলছেন,
“আমরা প্রমাণ করব—রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা মানেই শত্রুতা নয়। আমাদের লক্ষ্য মানুষকে সেবা দেওয়া, রাজনীতিকে নতুন ধারায় নিয়ে যাওয়া।”
এলাকার ভোটাররা বলছেন, কেবল প্রতিশ্রুতি নয়—তারা এখন বাস্তব উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও কাজের রাজনীতি দেখতে চান।
বিশেষ করে মিরপুরের বড় বাজার থেকে কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন এখন ভোটারদের প্রধান দাবি। বর্তমানে এই পথে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌকা, একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে বদলে যাবে দুই এলাকার জীবনযাত্রা।
প্রথমবারের মতো এই আসনে মুখোমুখি হচ্ছেন দুই তরুণ—তুলি ও আরমান। দুজনেরই জনপ্রিয়তা ও জনসম্পৃক্ততা বাড়ছে, তবে কে হাসবেন শেষ হাসি তা নির্ভর করবে ভোটারদের বিশ্বাস অর্জনের উপর।
ভোটাররা বলছেন, “আমরা প্রতিশ্রুতি নয়, এবার কাজ দেখতে চাই। আমাদের ভোট উন্নয়নের জন্য।”
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.