আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকায় বসতে যাচ্ছে মোট ১৯টি কোরবানির পশুর হাট। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ৯টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ১০টি অস্থায়ী হাট বসানোর জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। হাটগুলো ঈদের আগের তিনদিনসহ মোট পাঁচদিন চালু থাকবে বলে জানিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ।
আইনি বাধায় বাদ পড়েছে দুটি হাট এ বছর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার কারণে আফতাবনগর ও মেরাদিয়া হাট তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। ফলে, হাটের সংখ্যা আগের তুলনায় কিছুটা কম হলেও সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, ব্যবস্থাপনায় কোনো ধরনের শৈথিল্য থাকবে না।
উত্তর সিটিতে ১০টি হাট গাবতলী স্থায়ী হাট ছাড়াও বসিলা, মিরপুর, খিলক্ষেত, বাড্ডাসহ ডিএনসিসির আওতায় এবার বসবে মোট ১০টি হাট। প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানান, “শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হাট পরিচালনা নিশ্চিত করা হবে। হাট ইজারার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হবে এবং সর্বোচ্চ দরদাতার কাছেই হাট ইজারা দেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিলাম হবে এবং যারা ইজারা পাবেন, তাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার বিষয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়া হবে। রাস্তাঘাট নোংরা করা যাবে না।”
দক্ষিণ সিটিতে ৯টি হাট
অন্যদিকে উত্তর শাহজাহানপুরের মৈত্রী সংঘ ক্লাব মাঠ, সাদেক হোসেন খোকা মাঠসহ দক্ষিণ সিটিতে বসবে ৯টি হাট। ডিএসসিসি প্রশাসক ড. মো. জিল্লুর রহমান জানান, “ইতোমধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের দরপত্র কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুসারে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ইজারা দেওয়া হবে।”
দ্বিতীয় পর্যায়ের দরপত্র ২৭ মে পর্যন্ত
দ্বিতীয় দফার দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৭ মে পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর যাচাই-বাছাই করে সর্বোচ্চ দরদাতাদের ইজারা প্রদান করা হবে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জোর নজরদারি
শুধু হাট পরিচালনা নয়, পশু কোরবানির পর বর্জ্য দ্রুত অপসারণ ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। হাটস্থলে মোতায়েন থাকবে নিরাপত্তা বাহিনী এবং থাকবে স্বাস্থ্যবিধি ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আলাদা পর্যবেক্ষণ টিম।
Leave a Reply