ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত প্রথম তিনটি বড় নির্বাচনে বিপুল সাফল্য পেয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত নিউইয়র্ক, ভার্জিনিয়া ও নিউ জার্সির নির্বাচনে জয় পেয়েছে দলটি। বিশ্লেষকদের মতে, এই ফলাফল ২০২৬ সালের কংগ্রেস নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের জন্য একটি সতর্কবার্তা এবং ডেমোক্র্যাটদের জন্য নতুন আশার সঞ্চার।
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনে জয় পেয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি, যিনি নিজেকে একজন গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক হিসেবে পরিচয় দেন।
এর মাধ্যমে তিনি শহরের প্রথম মুসলিম, প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ও আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন।
তিনি সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোকে হারিয়ে নিউইয়র্কের ১১১তম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৮৯২ সালের পর নিউইয়র্কের সবচেয়ে তরুণ মেয়র এখন মামদানি।
এবারের নির্বাচনে শহরে ১৯৬৯ সালের পর সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মামদানি মূলত জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো এবং সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যাপক জনসমর্থন অর্জন করেন।
ভার্জিনিয়ায় গভর্নর নির্বাচনে অ্যাবিগেল স্প্যানবার্গার রিপাবলিকান লেফটেন্যান্ট গভর্নর উইনসোম আর্ল-সিয়ার্সকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছেন।
তিনি রাজ্যটির প্রথম নারী গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।
অন্যদিকে নিউ জার্সিতে, মিকি শেরিল রিপাবলিকান জ্যাক সিয়াটারেলিকে পরাজিত করে গভর্নর নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের ইতিহাসে প্রথম নারী ডেমোক্র্যাট গভর্নর।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর ট্রাম্প এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন,
“আমার নাম ব্যালটে না থাকা এবং চলমান ফেডারেল সরকার বন্ধ থাকার প্রভাবেই এই ফলাফল।”
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোটাররা এই নির্বাচনের মাধ্যমে ট্রাম্পের নয় মাসের শাসনকাল নিয়ে অসন্তোষের বার্তা দিয়েছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, এই তিন নির্বাচনের ফলাফল ডেমোক্র্যাটদের জন্য নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে এবং ২০২৬ সালের কংগ্রেস নির্বাচনের আগে দলটির প্রচারণা কৌশল পরীক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করছে।